শিরোনাম :
টেলিফোন ও উচ্চ গতির ইন্টারনেট সার্ভিসের জন্য প্রথমবারের মতো প্রিপেইড সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড- বিটিসিএল। এর মধ্যদিয়ে দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিযোগাযোগ কোম্পানি পুরোপুরি ‘ডিজিটাল বিলিং’ কার্যক্রমও শুরু করল।
রবিবার বিটিসিএলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই প্রি-পেইড সার্ভিসের উদ্বোধন করেন টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। উদ্বোধনের পর তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখনও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা রাখে। বিটিসিএলের ইন্টারনেট ও কলিং অ্যাপ সেবায় গ্রাহক সংখ্যার বৃদ্ধি তারই প্রমাণ। বিটিসিএল আগামী দিনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং ফাইভজি প্রযুক্তিতে টেলিযোগাযোগ খাতে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার, বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল আলম এবং টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ-টিআরএনবির সভাপতি রাশেদ মেহেদী।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, এমওটিএন (মডার্নাইজেশন অব টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক) প্রকল্পের মাধ্যমে বিটিসিএল আধুনিকতম প্রযুক্তির সক্ষমতা অর্জন করেছে। এ কারণেই গ্রাহক সেবায় এত বড় উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। এখন বিটিসিএল সর্বাধুনিক প্রযুক্তির অনেক সেবা এবং পূর্ণ ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় চলতে সক্ষম।
বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় টেলিসেবা অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকের অভিযোগের সমাধান এবং নতুন সংযোগের আবেদন ব্যবস্থা চালু, সফলভাবে ক
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রিপেইড প্যাকেজে রয়েছে টেলিফোন প্যাকেজ এবং ইন্টারনেট বান্ডেল প্যাকেজ (টেলিফোনসহ)। ১৫০ টাকায় ৩০ দিন মেয়াদে টেলিফোন প্যাকেজ পাওয়া যাবে। আর ইন্টারনেট সেবার জন্য ৫ এমবিবিএস থেকে ১০০ এমবিবিএস পর্যন্ত ১১টি প্যাকেজ মিলবে ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ২০০ টাকায়। টেলিফোনসহ ইন্টারনেট প্যাকেজ পেতে প্রতিটির জন্য ১০০ টাকা দিতে হবে। আর মেয়াদ হবে ৩০ দিন। প্রিপেইড প্যাকেজে বিটিসিএল থেকে বিটিসিএলে ৩০ দিন আনলিমিটেড কথা বলার সুবিধা পাওয়া যাবে মাত্র ১০০ টাকায়। লিং অ্যাপ আলাপ চালুসহ গত তিন বছরে বিটিসিএলের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন। টিআরএনবির সভাপতি বলেন, সঠিক নেতৃত্ব ও ব্যবস্থাপনা থাকলে রাষ্ট্রায়ত্তও কোম্পানিও যথাযথ গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে পারে তার প্রমাণ গত তিন বছরে বিটিসিএলের ধারাবাহিক উন্নতি থেকেই হয়েছে।
