বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের (বিএইচবিএফসি) ঋণের কিস্তি অনলাইনে জমা ব্যবস্থার উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অনলাইনে এ ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন।
বিএইচবিএফসির এমডি মো. আফজাল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, এসবিএল পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী এবং বিএইচবিএফসি পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. সেলিম উদ্দিন।
এখন থেকে প্রতিষ্ঠানটির ঋণের কিস্তিসহ সব ধরনের বিক্রয়যোগ্য ফরমের মূল্য ও সরকার নির্ধারিত ফির অর্থ যেকোনো স্থান থেকে তাত্ক্ষণিক পরিশোধ করা যাবে। সোনালী ব্যাংকের সোনালী ই-সেবা পেমেন্ট গেটওয়ে থেকে গ্রাহকের নিজ অ্যাকাউন্টের টাকা স্থানান্তর, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড অথবা মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে এ জমা সম্পন্ন করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিএইচবিএফসির যাত্রাকালে অনুমোদিত মূলধন ১১০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ছিল ১১০ কোটি টাকা ছিল। এ বিষয়ে একটি আইন জাতীয় সংসদে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এটি প্রায় একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আইনটি পাস হলে বিএইচবিএফসির অনুমোদিত মূলধনের পরিমাণ ১ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিএইচবিএফসির ঋণ সহজীকরণের পথে সমস্যা ও সম্ভাবনা চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করে ২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যবসায়িক অর্জন নির্দেশক সব সূচকে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। এতে আমরা আনন্দিত ও গর্বিত। আশা করছি, সাফল্যের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
উপযুক্ত গ্রাহক নির্বাচন করে ঋণ প্রদান ও নিয়মিতভাবে ঋণ আদায়ের সাফল্য বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের ভাবমূর্তি সমুজ্জ্বল করবে।
বিএইচবিএফসির ঋণের কিস্তি অনলাইনে জমা ব্যবস্থার উদ্বোধনের ফলে প্রতিষ্ঠানটির ঋণের কিস্তিসহ সব ধরনের বিক্রয়যোগ্য ফরমের মূল্য ও সরকার নির্ধারিত ফির অর্থ এখন যেকোনো স্থান থেকে তাত্ক্ষণিক পরিশোধ করা যাবে।
এখন সোনালী ব্যাংকের সোনালী ই-সেবা পেমেন্ট গেটওয়ে থেকে গ্রাহকের নিজ অ্যাকাউন্টের টাকা স্থানান্তর, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড অথবা মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে এ জমা সম্পন্ন করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। জমা দেয়া অর্থ ও বিদ্যমান ঋণস্থিতির তথ্য তাত্ক্ষণিকভাবে অটো জেনারেটেড ভাউচার ও এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহক জানতে পারবেন।