মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) বিশেষ সফটওয়্যার বিক্রির জন্য আরও পাঁচটি কোম্পানিকে অনুমতি নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এর ফলে ৪৮টি কোম্পানি বিশেষ সফটওয়্যার বিক্রি করতে পারবে। আগে ৪৩টি কোম্পানিকে ভ্যাটের বিশেষ সফটওয়্যার বিক্রির অনুমতি অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
বার্ষিক পাঁচ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ভ্যাটের বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সোমবার (৮ নভেম্বর) এনবিআরের জনসংযোগ বিভাগের সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তালিকাভুক্ত নতুন পাঁচটি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— ঢাকার পাকিজা টেকনোলজিস লিমিটেড, সিনটেক সল্যুশন লিমিটেড, ইউনিপ্রো সফটওয়্যার বিডি লিমিটেড, সিস্টেম রিসোর্সেস লিমিটেড এবং চট্টগ্রামের নিউ টেকনোলজি সিস্টেমস লিমিটেড।
ভ্যাট সফটওয়্যারের বৈশিষ্ট্য হলো— এতে ক্রয় ও বিক্রয়ের চালানের তথ্য অ্যান্ট্রি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সব ধরনের হিসাব হালনাগাদ (আপডেট) হয়ে যাবে।
সফটওয়্যারে বিভিন্ন মূসক হারও দেওয়া রয়েছে। প্রতিটি বেচাকেনার তথ্য আলাদাভাবে সংরক্ষণের সুযোগ রয়েছে এসব সফটওয়্যারে। ভ্যাট আইন অনুযায়ী, আমদানিকারক কিংবা উৎপাদনকারী পাইকারি বা খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের বেচাকেনা বছরে পাঁচ কোটি টাকা অতিক্রম করলেই এই সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।
সর্বশেষ পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ২ লাখ ৮০ হাজার প্রতিষ্ঠান বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (বিআইএন) নিবন্ধন নিয়েছে, যা ভ্যাট নিবন্ধন হিসেবে পরিচিত। যা ব্যবহার করে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন পণ্য ও সেবা বিক্রির বিপরীতে সংগ্রহ করা ভ্যাট আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়।
নিয়ম অনুযায়ী, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন-২০১২ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক বিধিমালা-২০১৬ অনুসারে ভ্যাট নিবন্ধিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাস শেষ হওয়ার অনধিক ১৫ দিনের মধ্যে ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।