বছর ব্যবধানে অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুকের আয় বেড়েছে প্রায় ৫.৭ গুণ। ২০২১ সালে বোনাস হিসেবে পেয়েছেন ১০ কোটি ডলার। এর এক দশক আগে, ২০১১ সালে অ্যাপল প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের কাছ থেকে প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব গ্রহণ করার পর ৬১ বছর বয়সী কুক এই প্রথম এতো বড় অঙ্কের বোনাস অর্জন করলেন।
শেয়ার বাজারে প্রতিষ্ঠানটির মূল্য তিন লাখ কোটি ডলারে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় ৭৫ কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার তিনি পুরষ্কার হিসেবে অর্জন করেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে তার অন্যান্য আয়।
খবরে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার মোট বেতন ছিল নয় কোটি ৮৭ লাখ ডলার, তারও আগের বছর এটি ছিল এক কোটি ৪৭ লাখ ডলার। বিদায়ী বছরে শেয়ার বাজারে অ্যাপলের শক্ত অবস্থানের পুরস্কার হিসেবে কুক পকেটে পুড়েছেন মোট আট কোটি ২৩ লাখ ডলারের শেয়ার। সে সময় তার মূল বেতন ছিল ৩০ লাখ ডলার। এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক এবং পরিবেশগত বিষয়ে লক্ষ্যপূরণের বোনাস হিসাবে পেয়েছিলেন আরো এক কোটি ২০ লাখ ডলার।
এসব তথ্য মিলেছে মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (এসইসি) অ্যাপলের জমা দেওয়া নথি থেকে।
নথি থেকে আরও দেখা গেছে, কুকের ব্যক্তিগত ফ্লাইটের পেছনে অ্যাপলের খরচ হয়েছে সাত লাখ ডলারের বেশি। এই খরচের পেছনে অ্যাপলের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, বাণিজ্যিক ফ্লাইটে সফর তার জন্য বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানটি কুকের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, পেনশন, জীবন বীমা এবং অব্যবহৃত ছুটির সময় প্রতিষ্ঠানের পেছনে দেওয়ার জন্য লাখ লাখ ডলার খরচ করেছে।
অ্যাপল জানিয়েছে, সিইও কুকের বেতন অ্যাপল কর্মীদের গড় বেতনের তুলনায় প্রায় দেড় হাজার গুণ। প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা গড়ে বছরে ৬৮ হাজার ২৫৪ ডলার আয় করেন। ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার ইনডেক্স অনুসারে কুকের সম্পদের মোট মূল্য এক বিলিয়ন ডলারের বেশি। এর আগে টিম কুক বলেছেন, তিনি ১০ বছর বয়সী ভাগ্নের শিক্ষার খরচ নিশ্চিত করার পর সমস্ত সম্পদ মৃত্যুর আগে দান করে দেবেন।