বৈশ্বিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান পিডব্লিউসির ১ হাজার ১০০ নিরীক্ষক পরীক্ষায় জালিয়াতি করেছেন—এ অভিযোগে পিডব্লিউসিকে কানাডার ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার জরিমানা করেছে কানাডীয় ও মার্কিন হিসাবরক্ষণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অভিযোগ, ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে নিরীক্ষকেরা পেশাগত পরীক্ষায় পরস্পরের খাতা দেখাদেখি করে উত্তর লিখেছেন। কানাডার পাবলিক অ্যাকাউন্টেবিলিটি বোর্ড পিডব্লিউসিকে দুই লাখ ডলার ও ইউএস পাবলিক কোম্পানি অ্যাকাউন্টিং ওভারসাইট বোর্ড সাড়ে সাত লাখ ডলার জরিমানা করেছে পিডব্লিউসিকে। আমেরিকান সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নিয়ন্ত্রণাধীন পাবলিক কোম্পানি অ্যাকাউন্টিং ওভারসাইট বোর্ড বিদেশি হিসাবরক্ষণ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে, যদি সে দেশে মার্কিন গ্রাহকদের সেবা দেওয়ার অনুমোদন থাকে তাদের।
তবে পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে এই প্রথম জরিমানা করা হয়েছে, তা নয়। এর আগে ২০১৯ সালে একই অভিযোগে কেপিএমজিকে ৫ কোটি ডলার জরিমানা করা হয়। এমনকি কেপিএমজির কিছু নিরীক্ষক কম্পিউটারের সার্ভার হ্যাক করে পরীক্ষায় পাস করার অপচেষ্টা করেন। কারণ, তাঁরা পরীক্ষায় ২৫ শতাংশ নম্বরও পাননি।
কেপিএমজির অস্ট্রেলিয়া কার্যালয়কেও একই অভিযোগে গত বছর সাড়ে চার লাখ ডলার জরিমানা করে আমেরিকার পাবলিক কোম্পানি অ্যাকাউন্টিং ওভারসাইট বোর্ড। বৈশ্বিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিডব্লিউসি স্বনামে খ্যাত। বলা হয়, ‘তাদের উদ্দেশ্য হলো, সমাজে আস্থা তৈরি করা ও জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান করা।’ কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, হিসাবরক্ষণের নিয়ম ও মান নিয়ন্ত্রণের প্রমিত মানদণ্ড অনুসরণ করেনি তারা—অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণোত্তর পরীক্ষা তত্ত্বাবধানে যা করা দরকার ছিল, তা করেনি। অথচ হিসাবরক্ষণের দক্ষতা অর্জনে এসব পরীক্ষা প্রয়োজনীয়।
নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অভিযোগ, পিডব্লিউসি বুঝতেই পারেনি, তাদের ১ হাজার ২০০-এর বেশি কর্মী পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করেছেন। আবার জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে ১ হাজার ১০০-এর বেশি ব্যক্তি ফার্মের নিশ্চয়তা শাখায় কাজ করতেন, যার মধ্যে নিরীক্ষার মূল কাজও আছে।