নানা রকম বিধিনিষেধের কারণে গত জুলাইয়ে আমদানি ঋণপত্র খোলা কমেছে। আর বেড়েছে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়। তাতে মনে করা হচ্ছিল, ডলারের ওপর চাপ কিছুটা কমবে। তবে ডলারের বাজারে সংকট যেন কাটছেই না।
দেশের বিভিন্ন ব্যাংক আজ বৃহস্পতিবার ওমান, দুবাই ও মালয়েশিয়া থেকে প্রবাসী আয় আনতে প্রতি ডলারের জন্য সর্বোচ্চ ১১৩ টাকা দাম দিয়েছে। বাড়তি দামে আনা এসব ডলার ব্যাংকগুলোকে আগের চেয়ে আরও বেশি দরে বিক্রি করতে হবে আমদানিকারকদের কাছে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারের দাম ৯৪ টাকা ৭০ পয়সায় ধরে রেখেছে।
ব্যাংকের পাশাপাশি খোলাবাজারেও ডলারের দামে একধরনের অস্থিরতা চলছে। যদিও খোলাবাজারে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে রাজধানীতে বিভিন্ন মানি চেঞ্জারে পরিদর্শনে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুটি মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স বা ব্যবসার সনদ স্থগিত করেছে। তার আগে রোববার তিনটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করেছিল তারা।
এদিকে আজ বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ডলারের দাম স্থিতিশীল পর্যায়ে চলে আসবে।