অনলাইন অ্যাপ এমটিএফইর মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জেও অনেকে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। টাকা খুইয়েছেন। তবে প্রতারিতদের কেউ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেননি।
প্রতারণার শিকার হওয়াদের দলে আছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমার মতো টাকা খুইয়েছেন অনেকেই। কিন্তু লজ্জায় মুখ খুলছেন না। আমি এই অ্যাপের সন্ধান পাই আহম্মেদ আবু আমিন ওরফে আপেল নামের এক ব্যক্তির কাছে। আমি অ্যাপের মাধ্যমে এক লাখ টাকা জমা দিই। দুই সপ্তাহে লাভ দেখানো হয় ১৩০ ডলার। এরপর তা বেড়ে দাঁড়ায় ২০০ ডলারে। কিন্তু অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে লাভ আর ওঠাতে পারিনি। বিনিয়োগ করা টাকাও খোয়া গেছে।’ এ ব্যাপারে আহম্মেদ আবু আমিন বলেন, ‘আমি এমটিএফই অ্যাপের মাধ্যমে প্রায় সাত লাখ টাকা খুইয়েছি। প্রথমে কম টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম। কিছুদিন লাভ পেয়ে সাত লাখ টাকা বিনিয়োগ করি। গত বৃহস্পতিবার থেকে অ্যাপটি বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু এর আগেই ডলার উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। আমার মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জের অনেকেই প্রতারিত হয়েছেন বলে জেনেছি।’
আহম্মেদ আবু আমিন বলেন, এই অ্যাপে যুক্ত করিয়ে দেড় কোটি টাকা বিনিয়োগ করাতে পারা ব্যক্তিকে বলা হয় সিইও। চাঁপাইনবাবগঞ্জে এ রকম প্রায় ১০ জন সিইও আছেন বলে জেনেছি। তাঁদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে অফিস খুলে কার্যক্রম পরিচালনা করতেন জমশেদ আলী ও সাদিকুল ইসলাম ওরফে বাবু নামের দুই ব্যক্তি। সাদিকুল ইসলামের অফিস ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উপররাজারামপুর মোড়ে। দুই দিন আগে অফিস থেকে সাইনবোর্ড নামিয়ে নেওয়া হয়। একসময় জমশেদ আলী ডেসটিনির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। এই অ্যাপের সঙ্গে জড়িতদের বেশির ভাগই ডেসটিনির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশে এই কার্যক্রম পরিচালনার বড় হোতা তরিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তাঁর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য তরিকুল ইসলাম, জমশেদ আলী ও সাদিকুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেগুলো বন্ধ পাওয়া যায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহিদ কামাল বলেন, ‘এমটিএফই অ্যাপের মাধ্যমে অনেকে প্রতারিত হয়েছেন বলে শুনেছি। তবে কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করতে আসেননি। তবে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।’