গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ মহাখালীস্থ ট্রাস্ট মিলনায়তনে বেলা ১১ টার সময় নির্ধারিত আইএসপিএবি‘র বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াতের পর আইএসপিএবি‘র সভাপতির স্বাগত বক্তব্য এর পর সদস্যরা বিভিন্ন অনিয়ম-বৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন ও আলোচনা করেন। পরবর্তী একপর্যায়ে ইজিম ব্যতিরেকে ক্রয় কমিটি না করে ১২/১৪ কোটি টাকায় বনানীতে আইএসপিএবি‘র জন্য ফ্ল্যাট ক্রয়ের স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিয়ে সদস্যের বিভিন্ন প্রশ্নে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন সংগঠনের সভাপতি ও সেক্রেটারি।
আইএসপিাবি’র সদস্যরা বলেন, থানা ও জেলা ভিত্তিক আইএসপিগুলোকে সাধারণ সদস্য না করা, থানা, জেলা ও বিভাগীয় আইএসপিদের লাইসেন্স আপগ্রেডেশন না হওয়া্ দেশের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় গুলোতে স্বার্থান্বেষী সিন্ডিকেট কর্তৃক মনোপলি ব্যবসা, ৪২০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার ইডিসি প্রজেক্টের কাজ হাতিয়ে নেওয়া প্রভৃতি বিষয়ে সদস্যদের পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে দাবি করা হলেও বর্তমান কমিটি এর কোন সুরাহা করেন নি।
সদস্যরা বলেন আইএসপিবি’র ইসি মিটিং গুলোতেও গৃহীত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হয়। প্রতি মাসের আয়-ব্যয় বা গৃহীত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনের অধিকাংশের হিসাব বারংবার চাওয়ার পরও প্রদান করা হয় না। যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত “ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২২।বর্তমান সভাপতি ইসি কমিটিকে পাশ কাটিয়ে নিজস্ব ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্মের মাধ্যমে মেলা আয়োজনের সকল কার্যক্রম সম্পাদন করেন। যেখানে আর্থিক লেনদেন সহ চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বিধায় আজ পর্যন্ত মেলার আয়-ব্যয়ের কোন হিসেব দেয়ার প্রয়োজন মনে করেন নাই।
নাম না প্রকাশ করার সর্তে এক সদস্য জানান,সরকার নির্ধারিত নিয়ম-কানুন অনুসরণ না করে ইজিএম ব্যাতিরেকে ক্রয় কমিটি ছাড়াই তড়িঘড়ি ১২/১৪ কোটি টাকা ব্যয় করে ফ্ল্যাট ক্রয়ের উদ্দেশ্যে ৪ কোটি টাকা বায়না করেন যার ক্রয় প্রক্রিয়া এবং প্রকৃত বাজার মুল্যের স্বচ্ছতা নিয়ে অভিযোগ পাওয়া যায়। অথচ ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাতে ৭/৮ কোটি টাকা খরচ করে ৪/৫ কাঠা জায়গা সহ ৪/৫ তলা বিল্ডিং ক্রয় সম্ভব ছিল বলে অধিকাংশ সদস্যরাই মনে করেন।
উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে সভায় ব্যাপক হট্টগোল, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি ধাক্কা ধাক্কির মত অপ্রীতিকর ঘটনা ও ঘটে। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত বিহীন অবস্থায় উক্ত বিশেষ সাধারণ সভার সমাপ্তি হয়