ঢাকা | শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ |
৪০ °সে
|
বাংলা কনভার্টার
walton

সোনিয়া বশির কবিরের নামে ‘ওয়েলক্স পে’র প্রতারণা

সোনিয়া বশির কবিরের নামে ‘ওয়েলক্স পে’র প্রতারণা
সোনিয়া বশির কবিরের নামে ‘ওয়েলক্স পে’র প্রতারণা

দেশের ব্যাংকখাতে ওয়েলক্স পে নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স, বিকাশের সঙ্গে চুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অন্যতম উদ্যোক্তা সোনিয়া বশির কবিরের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন অপপ্রচার শুরু করেছে বলে জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানটি বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানিয়েছে, ওয়েলক্স পে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটর (পিএসও) লাইসেন্স পেয়েছে, আছে বিকাশের সঙ্গে চুক্তিও।

জানা গেছে, ওয়েলক্স পে’র প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা সোনিয়া বশির কবিরের। অবশ্য এসব তথ্যের কোনোটিরই সত্যতা পাওয়া যায়নি। ফলে এসব সেবার মাধ্যমে লেনদেনে ঝুঁকি রয়েছে।

বিদায়ী বছরের ১৬ নভেম্বর ভারতের হিন্দুস্তান টাইমসে একটা বিজ্ঞাপনবার্তায় বলা হয়, ওয়েলক্স পে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পেমেন্ট সার্ভিস ওপারেটর (পিএসও) লাইসেন্স পেয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট তথ্য বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো লাইসেন্স নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি কোনো আবেদনও জমা দেয়নি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক জানান, ওয়েলক্স পে নামের কোনো প্রতিষ্ঠানকে পিএসও লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তাদের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে আছে।

এদিকে বিদেশি অন্য একটি গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপনবার্তায় বলা হয়, ওয়েলক্স পে বাংলাদেশের মোবাইলভিত্তিক আর্থিক সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান বিকাশের সঙ্গে চুক্তি করেছে। ওয়েলক্স পের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা সোনিয়া বশির কবির।

যদিও বিকাশ জানিয়েছে, ওয়েলক্স পে নামের কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের কোনো চুক্তি নেই। প্রতিষ্ঠানটি ভুল বার্তা দিচ্ছে। সোনিয়া বশির কবিরের সঙ্গেও এই প্রতিষ্ঠানের কোনো সর্ম্পক নেই। তার সঙ্গে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। তবে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত নন।

ওয়েলক্স পে ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তাদের প্রধান কার্যালয় ইন্দোনেশিয়ায়। এটি ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে সেবা দিয়ে থাকে। বিভিন্ন মুদ্রার পাশাপাশি ক্রিপ্টো মুদ্রার লেনদেনও হয় এই সেবার মাধ্যমে। তবে দেশে ক্রিপ্টো মুদ্রা লেনদেনের আনুষ্ঠানিক অনুমতি নেই।

সোনিয়া বশির কবির,ওয়েলক্স পে,প্রতারণা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Transcend