মেইড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠায় দেশে মেগা শিল্পের বিকাশ ও আমদানি বিকল্প শিল্পোৎপাদন বাড়াতে প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে অটোমোবাইলের মতো ভারি প্রকৌশল শিল্পে ১০ বছর মেয়াদি কর অব্যাহতির প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘মেগা শিল্পের বিকাশ এবং আমদানি বিকল্প শিল্পোৎপাদনকে ত্বরান্বিত করার স্বার্থে “মেড ইন বাংলাদেশ” ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশে অটোমোবাইল- থ্রি হুইলার ও ফোর হুইলার উৎপাদনকারী কোম্পানিকে শর্ত সাপেক্ষে আরও ১০ বছর মেয়াদে কর অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করছি।’
এছাড়া হালকা শিল্পের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কতিপয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেস পণ্য এবং হালকা প্রকৌশল শিল্পপণ্যের উৎপাদনকারী কোম্পানিকে শর্ত সাপেক্ষে ১০ বছর মেয়াদি কর অব্যহতি প্রদানের প্রস্তাব করছি।’
প্রস্তাবিত বাজেটে বিরাট ছাড় এসেছে করপোরেট করের ক্ষেত্রে, এছাড়া ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ড তৈরির লক্ষ্যে ভারী শিল্পে কর অবকাশ সুবিধা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। স্থানীয় শীল্পে উৎসাহ দিতে শুল্ক ও করে নীতি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বাজেটের এসব উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন অর্থনীতির বিশ্লেষকরা। রেওয়াজ অনুযায়ী অর্থমন্ত্রী শুক্রবার বাজেট পরবর্তী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে হাজির হলে কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা নিয়েও সাংবাদিকরা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, “বাজেট ইজ কোয়াইট ওপেন। পুরোটাই ব্যবসা বান্ধব। আমি মনে করি ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেবে। সুযোগ নেওয়া মানে হচ্ছে উৎপাদন যাওয়া। উৎপাদনে গেলে তা হবে কর্মসংস্থান। কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করলে উৎপাদন কীভাবে হবে?
“এজন্য আমি মনে করি ব্যবসায়ীরা কর্মসংস্থান সৃষ্টির কাজটি করবে। আমরা মেইড ইন বাংলাদেশের ট্যাগলাইনটা ব্যবহার করতে শুরু করেছি। এটা সময়োপযোগী পদক্ষেপ। ”
ভবিষ্যতে ভ্যাট, ট্যাক্স কমিয়ে দেশীয় শিল্পকে আরও বেশি সুরক্ষা দেওয়া হবে বলে ইঙ্গিত দেন অর্থমন্ত্রী।তিনি বলেন, “আমাদের দেশীয় পণ্য যেগুলো আছে। যেখানেই সম্ভাবনা আছে, সক্ষমতা আছে, আমরা সেটাকে কাজে লাগাব।
“আমরা কিছুটা ফ্লেক্সিবল থাকব। ভ্যাট ট্যাক্স কখনও বাড়াবো না। এটা পরিবর্তন হতে থাকবে। পরিবর্তন হওয়া মানে কমে যাওয়া। এর উদ্দেশ্য থাকবে রেভিনিউ বাড়ানো।”
অর্থমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, উত্তরণের অনেক কিছুই নির্ভর করছে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আসার ওপর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে মানুষের কাজ পেতে বেশি সময় লাগবে না বলেই তার বিশ্বাস।