দেশজুড়ে চলমান লকডাউনে ‘নগদ’-এর মাধ্যমে ভিসা ক্রেডিট কার্ডের বিল প্রদান গ্রাহকের জীবন আরেকটু সহজ করেছে। ভিসা ক্রেডিট কার্ডের বিল প্রদান এখন আর দুর্ভোগের বিষয় নয়; নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার ভয়ও আর থাকবে না। ‘নগদ’-এর মাধ্যমে ভিসা ক্রেডিট কার্ডের বিল দিয়ে ৩০০ টাকা পর্যন্ত তাৎক্ষণিক ক্যাশব্যাকও পেতে পারেন গ্রাহক।
সম্প্রতি ‘দেশি নগদ-এ বেশি লাভ’ ক্যাম্পেইন চালু করেছে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’। যাত্রা শুরুর প্রথম দিন থেকে গ্রাহকের জীবন সহজ করতে নতুন নতুন ব্যতিক্রমধর্মী উদ্ভাবন নিয়ে আসছে দেশের দ্বিতীয় গ্রাহক সেরা অপারেটরটি। যার অংশ হিসেবে দেশের ভেতর থাকা সব ধরনের ভিসা ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকদের বিল প্রদানের সমাধান নিয়ে এসেছে তারা।
যখন, যেখান থেকে যত খুশি ‘নগদ’-এর মাধ্যমে ভিসা ক্রেডিট কার্ডের বিল প্রদান করতে পারছেন গ্রাহক। প্রদান করা ফি’র সঙ্গে বাড়তি এক শতাংশ চার্জ দিতে হবে গ্রাহককে। তবে গ্রাহকের বাড়তি সুবিধা দিতে সম্প্রতি একটি ক্যাম্পেইন চালু হয়েছে, চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এ সময়ে একজন ভিসা ক্রেডিট কার্ড গ্রাহক তার কার্ডের বিল প্রথমবার ‘নগদ’-এ দেওয়ার জন্য তাৎক্ষণিক ৩০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাবেন।
‘নগদ’-এর মাধ্যমে বিল প্রদানে ভিসা ক্রেডিট কার্ড গ্রাহককে অবশ্যই ‘নগদ’-এর অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। লগ ইন করে অ্যাপের বিল পে অপশনে যেতে হবে, সেখানে ভিসা ক্রেডিট কার্ড বিল পে অপশনে গিয়ে কার্ডের নম্বর লিখে পরের অপশনে টাকার অঙ্ক লিখতে হবে। তারপর গ্রাহককে তার টাকার অঙ্ক নিশ্চিত হতে আবার টাকার পরিমাণ দেখানো হবে, এরপর পিন সেট করলেই সঙ্গে সঙ্গে বিল প্রদান হয়ে যাবে। গ্রাহক তার বিলের বিপরীতে রশিদ সংগ্রহ করতে পারবেন। একটি বিল ভিসা ক্রেডিট কার্ডে হালনাগাদ হতে তিন কর্মদিবস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
বাংলাদেশের যেকোনো কমার্শিয়াল ব্যাংক থেকে ইস্যুকৃত ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকেরা এই সেবা উপভোগ করতে পারবেন। উল্লেখ থাকে যে, ‘নগদ’-এর মাধ্যমে ভিসা ক্রেডিট কার্ড বিল প্রদানের ক্ষেত্রে গ্রাহকের কোনো ভুল হলে তার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে তাকে সংশ্লিষ্ট কার্ড প্রদানকারী ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
এ বিষয়ে ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, “দেশের সাধারণ মানুষের জন্য একটি উপযুক্ত ডিজিটাল জীবন নিশ্চিত করতে কাজ করছি আমরা। একটি সফল ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য, আর সেটি করতে ডিজিটাল পেমেন্ট নিশ্চিত করাই হলো প্রধান উপায়। ডিজিটাল সেবা সম্প্রসারণের জন্য ‘নগদ’ বিভিন্ন ধরনের ক্যাশ-ব্যাকসহ আকর্ষণীয় সব অফার দিচ্ছে যা ডিজিটাল জীবপনযাপনে মানুষকে উৎসাহ দিচ্ছে।”
এর আগে করোনা মহামারির সময়েই ভিসা ও মাস্টার কার্ড থেকে ‘নগদ’-এ টাকা আনার সেবা চালু করে ‘নগদ’। এ ছাড়া করোনা সংক্রমণের এই সময়ে ঘরে বসেই ‘নগদ’ ওয়ালেট থেকে সহজেই সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, অনলাইনে পণ্য কেনা বা মার্চেন্ট পেমেন্ট করা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনুদান দেওয়া, স্কুল কলেজের বেতন পরিশোধ করা, বিভিন্ন অনলাইন নিবন্ধনের ফি পরিশোধ এবং কোভিড টেস্টের ফি দেওয়াসহ অসংখ্য সেবা সহজেই নিতে পারছেন। এসব সেবা প্রদানের মাধ্যমে ‘নগদ’ মানুষের জীবন সহজ করেছে। একই সঙ্গে দেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে মানুষেকে দিচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা, যা ‘দেশি নগদ-এ বেশি লাভ’ বলে ইতিমধ্যে সবার কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।