বাংলাদেশকে প্রযুক্তি খাতে করমুক্ত বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে উজবেকিস্তান। তবে প্রযুক্তি পণ্য ও সেবা আর দক্ষ জনশক্তি রফতানির বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বাংলাদেশ।
উজবেকস্তান সফররত বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সামনে দেশটির প্রথম আইটি পার্কে বিনিয়োগের এই আহ্বান জানিয়েছেন সেখানকার প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লা আরিপভের আইসিটি উপদেষ্টা অলিমজন ওমারভ। তিনি চাইছেন, নির্মিয়মান আইটিপার্কটিতে সহনীয় খরচে প্রযুক্তি আর সেবা দিক বাংলাদেশ।
অপরদিকে বাংলাদেশের তরুণ প্রযুক্তি দক্ষ জনশক্তি এবং প্রযুক্তি পণ্য ও সেবা উৎপাদনে বাংলাদেশের বৈশ্বিক মানের বিষয়টি উজবেক সরকারের সমানে তুলে ধরেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বাধীন বাণিজ্য দলে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে সেখানে তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে উজবেকস্তানে বাংলাদেশের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি সেবা দেয়ার সক্ষমতার চিত্র তুলে ধরেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশের আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর উপস্থাপনায় মুগ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে তাদের ‘লার্ন, শেয়ার ও সার্চ’ প্রেগামে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেন আইসিটি উপদেষ্টা অলিমজন ওমারভ। এসময় নিজেদের হাই স্পীডের ইন্টারনেট সেবা প্রদান ও সর্বস্তরে প্রযুক্তির ব্যবহারে নিজেদের ঘাটতির কথা উল্লেখ করে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন তিনি। একইসঙ্গে এই খাতে বিনিয়োগ প্রস্তাবও দেন।
এখন এই প্রস্তাব ও সম্ভাবনাগুলো যাচাই করে উজবেকস্তানের সঙ্গে প্রযুক্তি, জনবল কিংবা সেবা বিনিময়ে চুক্তির হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
উজবেক সফররত বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে ই-ক্যাব সভাপতি শমী কাসার, বাক্কো সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন,এলআইসিটি প্রকল্পের আইটি-আইটিইএস পলিসি অ্যাাডভাইজার সামি আহমেদসহ ব্যবসায়ী ও প্রযুক্তি ব্যক্তিত্বরা রছেন।
সূত্রমতে, শিক্ষাজীবনের শুরু থেকে শেষ, তারপর চাকরি, সংসার আর অবসর, এর সবকিছুই একটি আইটি পার্কের মধ্যেই করার অভিনব পরিকল্পনা নিয়েছে উজবেক সরকার। ফলে একটু কৌশলী হলেই বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার প্রকৌশলী এবং ফ্রিল্যান্সারদেরও এই পার্কে কাজে লাগানোর অমিত সম্ভবনা রয়েছে।