গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি ও যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক পাচ্ছে ৫৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ। ৯টি প্রতিষ্ঠান পার্কগুলোতে বিনিয়োগ করবে। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এই ঘোষণা দেয়।
বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটির ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনে সাতটি ও শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে দুটি কোম্পানিকে প্লট বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সোনারগাঁও হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জমি হস্তান্তর বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।
চুক্তির আওতায় আগামী ৪০ বছরের জন্য বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, টেকনোমিডিয়া লিমিটেড, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেড, সেলট্রোন ইলেক্ট্রো ম্যানুফ্যাকচারিং সার্ভিস লিমিটেড, উল্কাসেমি প্রাইভেট লিমিটেড, ম্যাকটেল লিমিটেড, চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন এবং শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে রেডডট ডিজিটাল লিমিটেড ও ফেলিসিটি বিগ ডাটা লিমিটেড বিনিয়োগের সুযোগ পেলো।
চুক্তিতে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ ও নয়টি কোম্পানির প্রধানরা স্বাক্ষর করেন। এছাড়া হালিমা টেলিকমকে বেসরকারি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ঘোষণার অনুমতিপত্রও আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে যেসব দেশ জ্ঞানভিত্তিক ও প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পের বিকাশে মনোনিবেশ করছে তারাই এফডিআই (সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ) আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে, প্রযুক্তিভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করার তাগিদ দেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আজ চুক্তির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি, কালিয়াকৈরে যে ৭টি কোম্পানি এবং শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে যে ২টি কোম্পানি জমি বরাদ্দ পেলো, তারা হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, আইওটি, বিপিও, গবেষণা ও উন্নয়ন, ডাটা সেন্টার ইত্যাদি নিয়ে কাজ করবে। ফলে পার্ক দুটিতে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে এই মুহূর্তে ৮টি হাই-টেক পার্ক বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত, এরমধ্যে তিনটি পার্ক উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনু্ষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম প্রমুখ।