ক্রয়াদেশ নিয়ে পণ্য সরবরাহ না করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা হয়েছে। আজ রোববার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালতে মামলাটি করেন ইকবাল হোসেন নামের একজন ভুক্তভোগী। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীর আইনজীবী নাজমুস সাকিব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলায় ১ কোটি ৩২ লাখ ৭০ হাজার ৯২৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিরা হলেন ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা এবং ই–অরেঞ্জের কর্মকর্তা আমানুল্লাহ, বীথি আক্তার, জায়েদুল ফিরোজ ও নাজমুল হাসান।
এর আগে ৬ অক্টোবর চট্টগ্রামে আরেকটি মামলা হয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। ওই মামলায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে প্রতিষ্ঠানটির মালিকসহ সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৭ মের পর থেকে বিভিন্ন সময় পণ্য কিনতে ই-অরেঞ্জকে টাকা দেন বাদীসহ কয়েকজন গ্রাহক। তবে নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিষ্ঠানটি কাউকে পণ্য সরবরাহ করেনি। ক্রয়াদেশ নেওয়ার পর থেকে ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ফেসবুকে নোটিশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহের আশ্বাস দেয়। কিন্তু তারা পণ্য সরবরাহ না করে দেশের প্রায় এক লাখ গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। আত্মসাৎ করা এই অর্থের মধ্যে চট্টগ্রামের ২৩ জন গ্রাহকের ১ কোটি ৩২ লাখ ৭০ হাজার ৯২৬ টাকা রয়েছে। এই গ্রাহকদের পক্ষে মামলাটি করা হয়েছে।
৬ অক্টোবর করা মামলাটিও আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজার আদালতে মামলাটি করেন নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী নুরুল আবছার।