বারবার বলার পরও দেশের ই-কমার্স খাত থেকে অর্থপাচার রোধে সরকারের নেয়া পদক্ষেপ না জানানোয় ক্ষোভ জানিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার সকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আগামী ২৩ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত। এ প্রতিবেদনে ই-কমার্স খাতের কর আদায়ে নীতিমালা ও কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে রাষ্ট্রপক্ষকে জানাতে হবে।
আদালত জানান, নোটিশ জারির পরেও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়টি আদালত গুরুতরভাবে নিচ্ছে। এসব অবহেলা সহ্য করা হবে না। পরে আদালত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের সাথে কথা বলার বিষয়ে জানান।
এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ই-কমার্স নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট। এছাড়া ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে এনবিআরের পলিসি এবং ই-কমার্স খাতের স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের করা ১৬ সদস্যের কারিগরি কমিটির কার্যপরিধি কী তা-ও জানতে চাওয়া হয়।
দেশে গত কয়েক বছর ঘরে বসে অনলাইনে পণ্য কেনাকাটা বা ই-কমার্স ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পর গোটা খাতটি এখন ভুগছে আস্থার সংকটে।
সম্প্রতি খুব অল্প সময়ে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতসহ গ্রাহক ও মার্চেন্টদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে।
ওইসব প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ ওঠার পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত মাসে কোম্পানিগুলোর ব্যবসা পদ্ধতি জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় আদালত।
গ্রাহক ও মার্চেন্টদের সুরক্ষা এবং ডিজিটাল কমার্স খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধের লক্ষ্যে তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সেটাও জানতে চাওয়া হয়।