আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসের লকারগুলোর কম্বিনেশন কোড নতুন ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধিদেরকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। কারাগারে থাকা প্রতিষ্ঠানটির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার এ আদেশ দেন। কম্বিনেশন কোড নিতে ইভ্যালির নতুন ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধিদের কারাগারে এই দম্পতির সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করতে আইজি প্রিজন্সকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির স্থানীয় সার্ভারের তথ্য উদ্ধারে সহযোগিতা করতে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক গ্রাহকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব ধরনের সম্পদ বিক্রি এবং হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর এক আদেশে ইভ্যালির নথিপত্র ১২ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী সব নথি দাখিল করা হয়।
যেহেতু এ কোম্পানিটির দুই জন মালিকই জেলে, তাই একটি কমিটি গঠনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। পরে গত ১৮ অক্টোবর ইভ্যালি পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে ৫ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন-সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, মাহবুবুল করিম, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ, আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
এছাড়াও, হাইকোর্ট পরিচালনা পর্ষদের কাছে অর্থ ফেরতের জন্য ছয় মাস জোর না করতে গ্রাহক বা পাওনাদারদের প্রতি নির্দেশ দেন। তাদের সমস্যা নিয়ে ইভ্যালির প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়। নতুন বোর্ডের কার্যক্রমের অগ্রগতি জানাতে বলে আদালত আদেশের জন্য ২৩ নভেম্বর দিন রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি ওঠে।