ডিজিটাল যুগে প্রচলিত ব্যবসা-বাণিজ্য অনিবার্য কারণেই ডিজিটাল বাণিজ্যে রূপান্তরিত হবে উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘ডিজিটাল যুগ হবে ক্যাশলেস সোসাইটির যুগ। এরই ধারাবাহিকতায় কাগজের সভ্যতা বিলুপ্ত হওয়ার পথে।’ সামনের দিনে প্রাকৃতিক ও প্রযুক্তিগত কারণে কাগজ বলে কিছু থাকবে না বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) দিবাগত রাতে ডিজিটাল প্লাটফর্মে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) আয়োজিত ঈদ আড্ডায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথায় বলেন।
ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল কমার্সকে বাণিজ্যখাত হিসেবে গড়ে তুলতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতাই বলে যেকোনও খাত গড়ে তুলতে বাণিজ্যিক সংগঠন অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। দেশে কম্পিউটার প্রযুক্তিবিকাশের বৈপ্লবিক পরিবর্তনে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) উদ্যোগ তুলে ধরেন সংগঠনটির সাবেক এই সভাপতি।
অনলাইনের অগ্রগতি তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটাল বাণিজ্যতো দূরের কথা ই-কমার্স বোঝার লোক ছিল না এক সময়। কিন্তু করোনাকালে আপনারা দেখিয়ে দিয়েছেন গরুর হাট পর্যন্ত অনলাইনে হতে পারে।’
ই-ক্যাবকে দেশে ডিজিটাল কমার্স রূপান্তরের অগ্রণী সৈনিক হিসেবে আখ্যায়িত করে মন্ত্রী বলেন, গ্রাহকরা যাতে কোন ভাবেই প্রতারিত না হয় সে দিকে ই-ক্যাবকে আরও সচেষ্ট হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘সুযোগ যেখানে থাকবে অপরাধীরা সেখানে অপরাধ করবে- সেটা প্রতিটি ক্ষেত্রেই। এটা বিক্রেতার পাশাপাশি ক্রেতার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কাজেই ডিজিটাল অপরাধ ডিজিটাল প্রযুক্তি দিয়েই মোকাবেলা করতে হবে।’
ডিজিটাল কমার্সের বিকাশে ডাকঘরের বিশাল নেটওয়ার্ক কাজে লাগাতে ইতোমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলেো জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এরই ধারাবাহিকতায় ডাক বিভাগ হবে ডিজিটাল কমার্স প্রসারের ডিজিটাল মহাসড়ক।’
ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমালের সঞ্চালনায় ই-ক্যাবের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন। তারা ই-ক্যাব ও ডিজিটাল বাণিজ্য বিষয়ক নানা প্রসঙ্গ আলোচনা করেন।