করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আরও একবার এক সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা এবং সামনে এ লকডাউন বাড়বে কিনা সে ব্যাপারেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নতুন এই পরিস্থিতি সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্যই প্রতিকূলতা তৈরি করবে। এমন অবস্থায় দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ (https://www.daraz.com.bd) সকল প্রকার সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে গ্রাহকসেবা চালিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেদেরকে নতুন উদ্যমে প্রস্তুত করছে।
কোভিড- ১৯ এর বৈশ্বিক মহামারীর প্রথম পর্যায়ে নানা প্রতিক‚লতার সম্মুখীন হলেও সময়োপযোগী নানা ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে দারাজ। সংকট ব্যবস্থাপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার দারাজ ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
গৃহীত পদক্ষেপগুলোর মধ্যে সকল ডেক্স ফ্যাসিলিটিগুলোতে সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম ইত্যাদির ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, প্রবেশপথে ডিসইনফেকশন বুথ স্থাপন এবং কর্মীদের তাপমাত্রা পরিমাপ করা, দুই ঘণ্টা অন্তর অন্তর সম্পূর্ণ ফ্যাসিলিটিজ পরিষ্কার করা অন্যতম। দারাজের টিম লিডাররা দলের সদস্যদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং কারও মধ্যে কোভিডের সামান্য উপসর্গ দেখা দিলে অনতিবিলম্বে পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
বৈশ্বিক মহামারী এবং বিশেষত রমজান মাসের কথা মাথাই রেখে দারাজ নিশ্চিত করেছে যেনো চাল, মসুর ডাল, আটা, চিনি, সাবান এবং স্যানিটাইজারের মতো গ্রাহকের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়ার ক্ষেত্রে যেনো কোন ঘাটতি না হয়। এমনকি গ্রাহকের দোরগোড়ায় প্যাকেজটিকে জীবাণুমুক্ত করার জন্যও নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যাতে জীবাণুবিহীন সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়। এছাড়াও, দারাজ গ্রাহকদের সুরক্ষার জন্য টাচলেস ডেলিভারি ও টাচলেস লেনদেনকে উৎসাহিত করছে।
এ নিষয়ে দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদুল হক বলেন, ‘আমরা সবসময় মুনাফার আগে গ্রাহকদের প্রাধান্য দেই। আমরা সম্ভাব্য সকল কর্মীর জন্য ওয়ার্ক- ফ্রম-হোম ঘোষণা করেছি যেন তারা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখতে পারে। তবে, নির্ভরযোগ্য অনলাইন মার্কেটপ্লেস হিসেবে গ্রাহক আস্থার কারণে আমরা গ্রাহকদের জন্য ডেলিভারি সেবা চালু রাখছি। প্রতিটি প্যাকেজের সুরক্ষা নিশ্চিত করে আমাদের ডেলিভারি অব্যাহত থাকবে।’