বাংলাদেশের বাজারে উন্মুক্ত হলো ওয়ালটনের ইউরোপীয় ব্র্যান্ড এসিসি’র এয়ার কন্ডিশনার।
ঐতিহ্যবাহী এসিসি ব্র্যান্ডে প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এই এসি বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। ইউরোপীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি এসিসি’র এয়ার কন্ডিশনারে গ্রাহক পাবেন প্রকৃত আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ব্যবহারের সুবিধা, স্বাদ ও অভিজ্ঞতা। অভিজাত গ্রাহকদের প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী রুচিশীল ডিজাইন ও অত্যাধুনিক ফিচারে বাজারে এসেছে এসিসি’র এসি। ১.৫ টন ক্যাটাগরিতে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি।
প্রাথমিকভাবে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর সব ওয়ালটন প্লাজা থেকে গ্রাহকরা এসিসি ব্র্যান্ডের এসি কিনতে পারছেন। পর্যায়ক্রমে দেশের সব ওয়ালটন প্লাজায় এসিসি’র এয়ার কন্ডিশনার উন্মুক্ত হবে। রয়েছে ঘরে বসে অনলাইনে ই-প্লাজা (যঃঃঢ়ং://বঢ়ষধুধ.ধিষঃড়হনফ.পড়স) থেকেও কেনার সুযোগ। এিিসসি ব্র্যান্ডের এই এসিটির দাম ৮৪,৯০০ টাকা। নগদ মূল্যের পাশাপাশি গ্রাহকরা ইএমআই এবং কিস্তি সুবিধায় কিনতে পারবেন। এতে রয়েছে ফ্রি ইনস্টলেশন সুবিধা।
উল্লেখ্য, এসিসি (অঈঈ) বিপুল জনপ্রিয় গেøাবাল ব্র্যান্ড। ১৯৬৮ সাল থেকে ইউরোপে ব্যাপক সুনাম ও ঐতিহ্যের সঙ্গে এসিসি’র পণ্য বাজারজাত হয়ে আসছে। গত বছর আন্তর্জাতিক বিডিংয়ে বেশকিছু নামকরা বৈশি^ক কোম্পানিকে হটিয়ে এসিসিসহ অর্ধশতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী ইউরোপীয় তিনটি ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডের স্বত্ব লাভ করে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.। অন্য ব্র্যান্ড দুটি হলো জানুসি ইলেকট্রোমেকানিকা (জেম) (তধহঁংংর ঊষবঃঃৎড়সবপপধহরপধ) (তঊগ) এবং ভার্ডিকটার (ভিওই) (ঠবৎফরপযঃবৎ) (ঠঙঊ)। ইউরোপের জনপ্রিয় এই ব্র্যান্ডগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ইনভার্টার এবং ফিক্সড স্পিড কম্প্রেসর ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট, গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) মেধাসম্পদ (প্যাটেন্ট, ডিজাইন এবং সফটওয়্যার লাইসেন্স), ৫৭টি দেশে ট্রেডমার্কসহ সর্বস্বত্ব¡ লাভ করে ওয়ালটন।
সম্প্রতি রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসিসি ব্র্যান্ডের এসি উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন এয়ার কন্ডিশনারের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) মো. তানভীর রহমান, ডেপুটি সিবিও সন্দীপ বিশ^াস, রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, চিফ কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স অফিসার গাও ওয়েমিং, হেড অব কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট আসিব-উল-হক ভুঁইয়া, ব্র্যান্ড ম্যানেজার খলিলুর রহমান এবং ব্র্যান্ড এক্সিকিউটিভ শেখ সাইদ শাহরিয়ার হোসেন।
ওয়ালটন এয়ার কন্ডিশনারের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) মো. তানভীর রহমান বলেন, অভিজাত ও রুচিশীল গ্রাহকদের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ব্যবহারের অভিজ্ঞতা দিতেই আমরা দেশের বাজারে এসিসি’র এসি উন্মুক্ত করেছি। এই এসিতে এসিসির অর্ধ শতাব্দির ঐতিহ্য ধরে রাখা হয়েছে। ডিজাইন ও কনফিগারেশনে দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব। এসিসি ব্র্যান্ডে বাজারে আসা এসিটির মডেল এএসআই১৮বিএইচবি১-টিআরডিডি (অঝও১৮ইঐই১-ঞজউউ)। ১৮,০০০ বিটিইউ বা ১.৫ টনের এই এসিটির সিওপি (ঈঙচ ড/ড) ৪.২৫। এতে ব্যবহৃত হয়েছে ইনভার্টার কম্প্রেসর, প্রো ক্লিন ও প্লাজমা কেয়ার প্রযুক্তি, ৫ ইি র ইন্টিগ্রেটেড টিএফটি ডিসপ্লে, আর-৩২ রেফ্রিজারেন্ট, লুভরড ফিনসহ অত্যাধুনিক সব ফিচার।
ওয়ালটন এসি রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, এসিসি ব্র্যান্ডের এই এসিতে ৫ ইি র টিএফটি ডিসপ্লে দেয়া হয়েছে। যেখানে রুমের তাপমাত্রা, বিদ্যুৎ খরচ, ভোল্টেজ ইত্যাদি তথ্য দেখার সুবিধা রয়েছে। এর পাশাপাশি এতে আছে ‘এরর কোড’ নামে একটি বিশেষ ফিচার। যার মাধ্যমে এসিতে কোনো প্রকার সমস্যা হলে ডিসপ্লেতে সেই তথ্য প্রদর্শিত হবে। থাকবে সমস্যাটি সমাধানের উপায়ও।
তিনি আরো জানান, এসিটিতে ব্যবহৃত প্লাজমা কেয়ার প্রযুক্তি বাতাসে বিদ্যমান ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস করে ঘরে স্বাস্থ্যকর ও আরামদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করে। ইনভার্টার টেকনোলজি ও পরিবেশবান্ধব আর-৩২ রেফ্রিজারেন্ট বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পাশাপাশি বিশ্বকে নির্মল রাখে। রিমোটের মাধ্যমে প্রো ক্লিন টেকনোলজি ব্যবহার করে ইনডোর ইউনিট-এ বিদ্যমান ধূলিকণা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিস্কৃত হয়।
এসিসি ব্র্যান্ডের এই এসিতে গ্রাহক তার প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী ১৬ ডিগ্রি থেকে ৩১ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা সেট করতে পারবেন। এতে আরো রয়েছে ইকো মোড, টার্বো মোড, কমফোর্ট কুলিং, বেবি কেয়ার, ফোরডি এয়ার ফ্লো ইত্যাদি ফিচার।
এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি এসিসি’র এসিতে রয়েছে ১০ বছরের কম্প্রেসর ওয়ারেন্টি।