দেশে দ্বিতীয় বারের মত করোনা মহামারি হানা দিয়েছে এবারও অনেক মানুষ প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছে। করোনা রোগীদের সবচেয়ে বিপদের বিষয় হলো শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়া তখন রোগীরা শ্বাস নিতে পারে না সে সময় প্রথম কাজই হলো রোগীকে কৃত্রিম অক্সিজেন প্রদান করা। তবে আমরা যারা বাড়িতে আছি বিশেষ করে যারা হালকা সদির্ কাশিতে আক্রান্ত তাদেরও এখন দিনে কয়েকবার শরীরের অক্সিজেন মাত্রা চেক করা উচিত কারণ যে কোন রোগের সর্বপ্রাথমিক অবস্থায় সনাক্ত করা গেলে ঝুকির হার অনেকাংশে কমে যায়। তাই এসব মানুষের বিপদের বন্ধু হতে পারে পালস অক্সিমিটার । খুবই ছোট একটি ডিভাইস যা বর্তমানে বেশ ট্রেন্ডী। কারণ এটি অল্প সময়ে মানুষের শরীরের অক্সিজেন মাত্রার ফলাফল প্রকাশ করতে পারে।
এটা দেখতে অনেকটা ক্লিপের মত দেখতে, এটির এক প্রান্ত চাপলে সামনের দিকে কিছুটা প্রসারিত হয় তখন সেই প্রসারিত করা অবস্থায় রোগীর আঙ্গুল সেটির ভিতরে ঢুকিয়ে সুইচ অন করলেই রোগীর শরীরের অক্সিজেনের পাঠ পাওয়া যায়। পূর্বে অনেক বেশি গুরুতর রোগীদের হাসপাতালে শরীরের অক্সিজেনের পাঠ সার্বক্ষণিক পাওয়ার জন্য এটি ব্যবহার করা হতো কিন্তু বর্তমানে যেসব রোগী আছে বিশেষ করে করোনা রোগী তাদের এটি ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী বিষয়ে হয়ে দাড়িয়েছে ।
এখন শুধু যে যারা রোগী রয়েছেন তারা বাদেও অনেকে নিজে সুস্থ অবস্থায়ও শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা জানার জন্য বাসা বাড়িতেও পালস অক্সিমিটার ব্যবহার করছেন।
কেন পালস অক্সিমিটার ব্যবহার করতে হয় ? মূলত খুব স্বাভাবিকভাবে এটি শুধু মানুষের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা মাপার জন্যই ব্যবহার করা হয় কিন্তু শুধু এতটুকু করেই ডিভাইসটি একজন রোগীর বর্তমান কি কন্ডিশন সেটা পর্যন্ত বলে দেওয়া সম্ভব। বেশিরভাগ ডাক্তাররা যে কোন রোগীকে এই অক্সিজেনের মাত্রা দেখেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ ডিসিশন ও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। এছাড়াও বাসা বাড়িতে কোন রোগী থাকলে তার অবস্থারও সার্বক্ষণিক নজড়দারি করা যায় এই ডিভাইসটির মাধ্যমে।
বর্তমান বাজারে বিভিন্ন ধরনের পালস অক্সিমিটার পাওয়া যায়। পালস অক্সিমিটারের বর্তমান দাম ও এর বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন অনলাইন ওয়েবসাইট বিডিস্টল.কম থেকে।