শিশুদের অস্কারখ্যাত, বিশ্বজুড়ে সমাদৃত "কিডস্ক্রিন এওয়ার্ড" জিতলো বাংলাদেশের শিশুদের জন্য নির্মিত জনপ্রিয় শিশুতোষ অনুষ্ঠান সিসিমপুর।
বিশ্বের সেরা সব শিশুতোষ টিভি সিরিজকে পেছনে ফেলে সিসিমপুর তার ১৩তম সিজনের জন্য "বেস্ট মিক্সড মিডিয়া সিরিজ" ক্যাটাগরিতে সেরার এই পুরস্কার লাভ করে।
২০ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে এক জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে ১৪তম কিডস্ক্রিন এওয়ার্ডের পুরস্কার প্রদান করা হয়। নেটফ্লিক্স, কার্টুন নেটওয়ার্ক, বিবিসি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স এনিমেশন, ফক্স মিডিয়া, নিকোলওডিয়েন, বাইজুস, পিবিএস কিডস, ড্রিম ওয়ার্কস এনিমেশন-এর মতো বিশ্বখ্যাত সব শিশুতোষ অনুষ্ঠান নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এবারের প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়।
কিডস্ক্রিন এওয়ার্ড বিশ্বজুড়ে শিশু ও পরিবারদের নিয়ে নির্মিত সেরা সিরিজ, এনিমেটেড ফিল্ম, লাইভ একশন প্রোগ্রামসহ নানা ক্যাটাগরিতে সেরা সব অনুষ্ঠানকে পুরস্কৃত করে থাকে।
উল্লেখ্য ২০১০ সালে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস ট্রাস্ট পরিচালিত জরিপেও সিসিমপুর শিশুতোষ অনুষ্ঠান হিসেবে সেরা এবং সামগ্রিকভাবে তৃতীয় জনপ্রিয় অনুষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছিল।
২০০৫ সাল থেকে প্রাক-প্রাথমিক শিশু বিকাশ কার্যক্রমের আওতায় 'শিশুরা হয়ে উঠুক আরও সম্পন্ন, আরও সবল এবং আরও সদয়' এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সিসেমি স্ট্রিট-এর বাংলাদেশি সংস্করণ 'সিসিমপুর'। শুরু থেকেই 'ইউএসএআইডি বাংলাদেশ'-এর আর্থিক সহায়তায় নির্মিত হয়ে আসছে জনপ্রিয় এই শিশুতোষ সিরিজ। সিসিমপুর নির্মাণে সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের প্রোডাকশন পার্টনার ধ্বনি-চিত্র লিমিটেড।
সম্মানজনক কিডস্ক্রিন এওয়ার্ড জয়লাভের খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, নিঃসন্দেহে এটি ভীষণ আনন্দের সংবাদ। কিডস্ক্রিন এওয়ার্ড বিশ্বব্যাপী শিশুদের অনুষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক একটি পুরস্কার। বিশ্বের সেরা সেরা সব শিশুতোষ অনুষ্ঠানের সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদের সিসিমপুর সবার সেরা হয়েছে। এটি অত্যন্ত গর্বের বিষয় যা আমাদের ভবিষ্যতের কাজকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করবে। প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের শিক্ষা এবং তাদের শৈশবকে ফলদায়ক, আনন্দময় ও মজাদার করতে ১৭ বছর যাবত সিসিমপুর কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ। আমি মনে করি এই সাফল্য শুধু আমাদের একার নয়। আমাদের নির্মাণ সহযোগী, সম্প্রচার সহযোগী, লেখক, আঁকিয়ে, পাপেটিয়ার, কলাকুশলী এবং আমাদের দেশের অগণিত শিশুরা এই সাফল্যের অংশীদার।