বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সিরিজের টাইটেল স্পন্সর হয়েছে দেশের শীর্ষ এবং স্বনামধন্য টেক জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিস-পিএলসি।
মিরপুর হোম অব ক্রিকেটের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ওয়ালটনের নাম ঘোষণা করে। এরপর সিরিজের অফিসিয়াল লোগো উন্মোচন করা হয়।
এছাড়া এই সিরিজে পাওয়ার্ড বাই স্পন্সর আই স্ক্রিন, কো স্পন্সর ইউসিএআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ব্র্যা
গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের ঘরোয়া, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পৃষ্ঠপোষকতা করছে ওয়ালটন। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল যেখানেই খেলতে যাচ্ছে- সেখানেই থাকছে ওয়ালটন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজে স্পন্সর হয়েছে ওয়ালটন। সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির পরিচালক তানভীর আহমেদ টিটু এবং টাইটেল স্পন্সর ওয়ালটন-এর পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির চিফ মার্কেটিং এন্ড কমিউনিকেশন অফিসার দিদারুল আলম খান উপস্থিত ছিলেন।
ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তানভীর আহমেদ বলেন, ‘ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানাই। ওয়ালটন হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এবং ক্রিকেটের পরিবারের একটি অংশ। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওয়ালটনের পথচলা। কখনো তারা টাইটেল স্পন্সর। কখনো কো-স্পন্সর। সব সময় বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গেই তারা থাকে। আশা করছি ক্রিকেটের সঙ্গে তাদের এই পথচলা অব্যাহত থাকবে।’
ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং এন্ড কমিউনিকেশন অফিসার দিদারুল আলম খান বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওয়ালটনের বন্ধুত্ব অনেক পুরোনো। ১২-১৩ বছর ধরে ক্রিকেটের সেবায় আমরা ওয়ালটন যুক্ত। আমরা সেই সুযোগটি পেয়েছি। এজন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা ক্রিকেটের সঙ্গে নিজেদের ব্র্যান্ডকে অ্যাসোসিয়েট করে যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছি তা সত্যইি অভূতপূর্ব। বাংলাদেশের বাইরের মানুষ আমাদের দেশ নিয়ে যদি তিনটি কথা বলে একটি অবশ্যই থাকে ক্রিকেট। ক্রিকেটের মাধ্যমেই আমাদের দেশের অনেক পরিচিতি হয়েছে। সেই ক্রিকেটের সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত থাকায় ওয়ালটন গর্বিত।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আই স্ক্রিনের পক্ষে অভিনেতা রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সিদ্দিক, অ্যাসোসিয়েট স্পন্সর রিমার্ক-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জামাল উদ্দিন এবং ইমপ্রেস মাত্রা কনসোর্টিয়ামের সায়মা বেগম রিতু।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একমাত্র টেস্ট শুরু আগামীকাল ১৪ জুন। এই ম্যাচ শেষে তিনটি ওয়ানডে খেলতে ১৯ জুন ভারতে যাবে আফগানরা। আর বাংলাদেশ দল কাটাবে ঈদ-উল-আযহার ছুটি।এরপর দ্বিতীয় দফায় ১ জুলাই ফের বাংলাদেশে আসবে আফগানিস্তান। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ওয়ানডে সিরিজ শুরু ৫ জুলাই। একই মাঠে পরের দুই ম্যাচ ৮ ও ১১ তারিখ। টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে দুই দল চলে যাবে সিলেটে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ ওভারের ম্যাচ দুটি ১৪ ও ১৬ জুলাই।
চার বছর পর টেস্ট এবং এক বছর পর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।