বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার ৬৪.৫% এরও বেশি মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয় | আগের বছরের তুলনায় ৩.৭% বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রায় সবার মোবাইল ফোনসেটে ঠাসা থাকে নানা রকম অ্যাপ। প্রযুক্তির উৎকর্ষের এই সময়ে দাঁড়িয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহার করতে হয় নানা অ্যাপ। অবসর বিনোদন থেকে ব্যাংক লেনদেন—সবকিছুই আজকাল হয় অ্যাপের ছোঁয়ায়। তবে হরহামেশা পরিবর্তন আসে মোবাইল ফোন অ্যাপে। তখন অনেক অ্যাপ মুছে ফেলা বা ডিলিট করে দেওয়া হয় স্মার্টফোন থেকে। কোন অ্যাপগুলো বেশি ডিলিট করা হয়েছে, সেগুলোর নাম উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক ফার্ম টিআরজি ডেটা সেন্টার ৯টি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কের ওপর গবেষণা চালায়। সেখানে বেছে নেওয়া হয় সেই অ্যাপগুলো, যেগুলো হাতে গোনা কয়েকটি দেশ ছাড়া মোটামুটি সব দেশেই ব্যবহার করা হয়।
এক বছর ধরে গবেষক দলটি ‘কীভাবে অ্যাকাউন্ট ডিলিট করতে হয়’ এই সার্চ কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে গবেষণার উপাত্ত সংগ্রহ করে ব্রাউজার ও ইউটিউব খোঁজে। গবেষণা অনুযায়ী, ২০২৩ সালের আলোচিত মেটার থ্রেডস অ্যাপ, যা পাঁচ দিনে ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর মাইলস্টোন স্পর্শ করেছিল, তাদের অ্যাকটিভ ইউজার কমেছে প্রায় ৮০ শতাংশ। বহু সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ জনপ্রিয় হয়ে ওঠার জন্য রীতিমতো সংগ্রাম চালিয়েছে পুরো বছর।
কিন্তু সারা বছরের হিসাবে দেখা যায়, বেশিসংখ্যক মানুষ ইনস্টাগ্রাম ডিলিট করেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১০ লাখ ২০ হাজারের বেশি ব্যবহারকারী ইনস্টাগ্রাম অ্যাপটি স্মার্টফোন থেকে মুছে ফেলেছে। এ তালিকায় ইনস্টাগ্রামের পরে রয়েছে স্ন্যাপচ্যাট, এক্স, টেলিগ্রাম, ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ ও উইচ্যাট। একদিকে মেটা থ্রেডস অ্যাপ, অন্যদিকে ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ ডিলিট করার কারণটি মার্ক জাকারবার্গের জন্য যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অ্যাপ মুছে দেওয়ার এই ঘটনা আশার নাকি চিন্তার, তা বলা বেশ কঠিন। বিশ্বব্যাপী একটা বড় অংশের ব্যবহারকারী একাধিক অ্যাপ ডিলিট করছেন ঠিকই, তারপরও প্রতিনিয়ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর সংখ্যা এবং তার বৃদ্ধি আগের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে।
এই সংখ্যা প্রায় ৫ বিলিয়নে পৌঁছে গেছে ইতিমধ্যে। প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানা গেছে, ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন গড়ে সোশ্যাল মিডিয়ার পেছনে ২ ঘণ্টা ২৪ মিনিট সময় অতিবাহিত করেছেন।