হোয়াটসঅ্যপের নতুন নীতিমালায় যারা এখনও সম্মতি দেননি তাদেরকে অ্যাপটি ক্রমাগত বার্তা পাঠিয়ে বিষয়টি মনে করিয়ে দেবে। এর আগে অ্যাপটি ১৫ মে তারিখ থেকে নতুন নীতিমালার অধীনে যাওয়ার কথা বলেছিল।
এ পরিবর্তনের ফলে বিজ্ঞপানদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী ক্রেতাদের মধ্যে যোগাযোগ পদ্ধতি প্রভাবিত হবে।
জানুয়ারিতে এই পরিবরবর্তনের ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মালিক প্রতিষ্ঠান ফেইসবুকের সঙ্গে অনেক বেশি ডেটা শেয়ারের সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। সে অবস্থান থেকে ফেইসবুক সরে আসেনি বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, প্রায় দুইশ’ কোটি ব্যবহারকারীর বেশিরভাগই নতুন নীতিমালায় সম্মতি দিয়েছেন।
যারা সম্মতি দেবেন না, তারা ক্রমশ অ্যাপটি থেকে সুযোগসুবিধা হারাতে থাকবেন। এর মধ্যে শুরুতেই আসবে চ্যাট লিস্ট দেখতে না পারা বা ভিডিও কল করতে না পারার বিষয়টি। তবে, কোনো অ্যাকাউন্টই মুছে ফেলবে না বলে জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। জানুয়ারির ঘোষণার পরপরই অনেক ব্যবহারকারীই সেবাটি বয়কট করে প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপে চলে যাওয়ার কথা বলেছিলেন, এর ফলে সিগনাল ও টেলিগ্রামের মতো অ্যাপে রেকর্ড ডাউনলোড দেখা গেছে সে সময়।
সে সময় হোয়াটসঅ্যাপ দাবি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি “ভুল তথ্য প্রচারে”র শিকার হয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ এন্ড টু এন্ড এনক্রিপ্ট করা থাকে, ফলে প্রেরক এবং প্রাপকের বাইরে ওই মেসেজ কেউ পড়তে পারেন না।
আগের এক পোস্টে হোয়াটসঅ্যাপ বলেছিল, যে ডেটা তারা ফেইসবুকের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শেয়ার করবে তার মধ্যে রয়েছে -- রেজিস্ট্রেশনের সময় দেওয়া ফোন নম্বর এবং অন্যান্য তথ্য (যেমন নাম), ফোনের নির্মাতা, মডেল এবং মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানসহ ব্যবহারকারীদের ফোন সম্পর্কে তথ্য, আইপি ঠিকানা, যা ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট সংযোগের অবস্থান নির্দেশ করে, হোয়াটস অ্যাপে যে কোনও অর্থ প্রদান এবং আর্থিক লেনদেন করা হয়েছে এমন সব তথ্য।
তবে, ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যে হোয়াটসঅ্যাপ নতুন নীতিমালা থেকে ডেটা শেয়ারের অংশটুকু বাদ দিচ্ছে।