অ্যাভাটারের নাম শুনেই সিনেমাটির কথা মনে পড়ছে অনেকের। অনেক আগেই অ্যাভাটারের নামে বাজারে গাড়ি আনার ঘোষণা দিয়েছিল বিশ্বখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মার্সিডিস বেঞ্জ। এবার প্রকাশ্যে এলো সেই গাড়ি। মানুষকে বিস্মিত করতে পারে, প্রথম দেখায় একেবারে জোরেশোরে ধাক্কা খেতে পারে এমন গাড়ি তৈরির দিকেই ঝুঁকেছে প্রতিষ্ঠানটি।
কয়েক দিন আগেই প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের কনসেপ্ট কার ভিশন এভিআরটি জনসম্মুখে দেখিয়েছে। একেবারে নতুন এক ধরনের এই গাড়ি কবে বাজারে ছাড়বে প্রতিষ্ঠানটি তা নিয়েও জল্পনা থেমে নেই। ধরে নেওয়াই যায় এটিই হবে পৃথিবির সুদূর ভবিষ্যতের গাড়ির মডেল।
গত ১৭-২১ অক্টোবর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে বসেছিল কনজ্যুমার কম্পিউটার ও ইলেক্ট্রনিকস ইভেন্ট। দুবাইয়ের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বসা সে আয়োজনে মার্সিডিস প্রথম তাদের এই ভবিষ্যতের গাড়ি দেখিয়েছে।
গাড়িটির ডিজাইন ও প্রযুক্তি ব্যবহারে মার্সিডিস বেঞ্জের সঙ্গে কাজ করেছে অ্যাভাটার চলচ্চিত্র নির্মাতা জেমস ক্যামেরুনের প্রতিষ্ঠান। একেবারে ভিন্ন এক মডেলের গড়িতে রয়েছে চারটি আসন। তবে নেই কোনো স্টিয়ারিং, ব্রেক বা অন্য হার্ডওয়্যার। বরং তার বদলে এটি একটি বিশেষ ব্যবস্থায় চলবে বলে জানাচ্ছে মার্সিডিস। থাকবে অসংখ্য সেন্সর। হাতের, চোখের ইশারায় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে গাড়িটি। এই গাড়ির চাকা ৩০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরতে পারে।
গাড়ির সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হল পিছনের দিকটা। পিছনে কোনো জানালার দরকার নেই। পরিবর্তে ৩৩টি পাল্লা ব্যবহার করা হয়েছে। যা বায়োনিক ফ্ল্যাপস হিসেবে কাজ করবে। এই ফ্ল্যাপগুলো গাড়ির গতি অনুসারে রং পরিবর্তন করে।
মার্সিডিস বলছে, গাড়িটি চলতি বছরের মধ্যেই তারা বাজারে আনার চেষ্টা করছে। যদি না আনতে পারে, তবে সেটি আগামী বছরের শুরুতেই বাজারে ছাড়তে চায় প্রতিষ্ঠানটি। এমন গাড়ির ধারণা মার্সিডিজ বেঞ্জের গতিশীলতার আমূল পরিবর্তন ও নতুন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে আগামীর যানবাহনে পরিণত করবে।
প্রথমে অবশ্য গাড়িটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেই ছাড়তে চায় মার্সিডিস বেঞ্জ। এরপর ধীরে ধীরে অন্য অঞ্চলেও ছাড়ার কথা জানিয়েছে তারা। আগামী বছরই মধ্যপ্রাচ্যের রাস্তায় চলতে দেখা যাবে মার্সিডিসের অ্যাভাটার গাড়িগুলো।