দামি ব্র্যান্ডের এসব গাড়ির নিলাম প্রক্রিয়া আগামী ২৩ জুন হবে বলে আশা করছেন কাস্টমস কমিশনার মো. ফখরুল আলম।
বুধবার চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে সংবাদ সম্মেলনে নিলামের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
প্রায় নয় বছর আগে দেশে আসা এসব গাড়ির অন্যান্য ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে ল্যান্ড ক্রুজার, লেক্সাস ও মিতসুবিশির মত আরও কিছু ব্র্যান্ড বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
আগের বারের নিলামে না ওঠা এবং অবিক্রিত গাড়িগুলোই এ নিলামে উঠছে। এসব গাড়ির বিপরীতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে (ক্লিয়ারেন্স পারমিট ইস্যু) বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ কমিশনার (নিলাম) মো. আল আমিন।
এর আগে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালের ৩ ও ৪ নভেম্বর কারনেটের আওতায় (পর্যটকদের জন্য বিশেষ সুবিধা) আনা ১১২টি গাড়ির নিলাম করেছিল। এরপর ১৬ নভেম্বর ১১০টি গাড়ি কিনতে আগ্রহী সর্বোচ্চ দরদাতার তালিকা প্রকাশ করা হয়; যেখান থেকে সরকারি নিয়ম মেনে তিনটি গাড়ি বিক্রি হয়েছিল।
বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রচলিত নিলামের পাশাপাশি ই অকশন পদ্ধতিতেও ক্রেতারা গাড়িগুলোর নিলামে অংশ নিতে পারবেন। এ পদ্ধতিতে আগ্রহীদের জন্য আগামী ১ জুন অনলাইনে ও স্বশরীরে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২৯ মে গাড়িগুলোর ক্যাটালগ প্রকাশের পর ৫ থেকে ৯ জুন পর্যন্ত আগ্রহী ক্রেতারা গাড়িগুলো বন্দরে গিয়ে দেখতে পারবেন। আর দরপত্র জমা দেওয়া যাবে ১২ ও ১৩ জুন।
সংবাদ সম্মেলনে কাস্টমস কমিশনার ফখরুল বলেন, ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে পর্যটকরা ‘কারনেট ডি প্যাসেজ’ সুবিধায় গাড়িগুলো এনেছিলেন। কিন্তু এসব গাড়ি যারা এনেছেন তারা কেউ পর্যটক নন, সবাই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিক।