ঢাকা | শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১ |
২৩ °সে
|
বাংলা কনভার্টার
walton

কক্সবাজারে আবার চালু হলো জোবাইক

কক্সবাজারে আবার চালু হলো জোবাইক
কক্সবাজারে আবার চালু হলো জোবাইক

পরিবেশ বান্ধব বাইসাইকেল রাইড শেয়ারিং সেবা দিচ্ছে জোবাইক (Jobike)। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য হল পরিবেশ বান্ধব, সুবিধাজনক এবং সহজলভ্য একটি ভিন্নধর্মী পরিবহণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, যা কিনা একটি শহরের পরিবহন ব্যবস্থাকে স্মার্ট ও আধুনিকীকরণে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। সম্প্রতি আবার কক্সবাজারে চালু হলো জোবাইক। ফলে স্থানীয় ও পর্যটকরা সাইকেল রাইড শেয়ারিং মডেলে ভাড়া করে চালানোর সুযোগ পাবেন। ব্যবহারকারী জোবাইক অ্যাপ এর মাধ্যমে সাইকেলের লক খুলে সাইকেল চালিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে গিয়ে লক লাগিয়ে রাইডটি শেষ করতে পারবেন। পরিবেশ বান্ধব, স্বাস্থ্যকর, এবং সাশ্রয়ী মূল্যের পরিবহন ব্যবস্থা প্রদানের মাধ্যমে পর্যটন খাতের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখছে জোবাইক। পর্যটক এবং স্থানীয় বাসিন্দারা একটি সুবিধাজনক রাইডিং অভিজ্ঞতা উপভোগ করার সাথে সাথে মেরিন ড্রাইভ সহ শহর এবং এর মনোরম স্থানগুলি ভ্রমন করতে পারবে।

উল্লেখ্য ২০১৮ সালের ১৮ জুন কক্সবাজারে কার্যক্রম শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এই সময়ের মধ্যে জোবাইক ২ লক্ষের বেশি রাইড সম্পন্ন করেছে এবং ৬৫ হাজার নিবন্ধিত ব্যবহারকারী যুক্ত হয়েছেন। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে কক্সবাজারে পরিষেবা স্থগিত রেখেছিল জোবাইক। গত ৩০ এপ্রিল থেকে কক্সবাজারে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। জোবাইক এর উদ্দেশ্য হল স্থানীয় বাসিন্দাসহ আগত পর্যটকদের পরিবহন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা, শহরকে সুন্দর করা, কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং একটি স্মার্ট সিটির উদ্যোগকে উন্নীত করা।

জোবাইকের অ্যাপ আগের চেয়ে আরও সহজ এবং উন্নত করা হয়েছে। এখন বিকাশ বা নগদ এর মাধ্যমে পেমেন্ট করা যাচ্ছে। ইলেকট্রিক অ্যাসিস্ট ই-বাইক এর ভাড়া প্রতি মিনিট ৩ টাকা মাত্র। জোবাইকের ই-বাইকগুলি শক্তিশালী ব্যাটারির হওয়ায় প্রতি ঘন্টায় ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে চলতে পারে। প্যাডেল বাইকের মত ই-বাইকও স্মার্ট লক ও অ্যাপ সিস্টেমের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

জোবাইকের প্রধান নিবার্হী কর্মকতা (সিইও) মেহেদী রেজা জানিয়েছেন, কক্সবাজারকে একটি স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশ-বান্ধব পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে দেশ বিদেশের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে জোবাইক। বর্তমানে কক্সবাজারে কলাতলি পয়েন্ট, হিমছড়ি এবং সালসা বীচ এই ৩টি পয়েন্টে মিলবে জোবাইকে সাইকেল। গুগল প্লেষ্টোর এবং অ্যাপল ষ্টোরে জোবাইক অ্যাপটি পাওয়া যাচ্ছে।

মেহেদী আরো জানান, জোবাইক সার্ভিসের অধীনে একজন ব্যবহারকারীকে মোবাইলে জোবাইক অ্যাপস নামিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। পরবর্তীতে আইডিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ রিচার্জ করে ইচ্ছেমতো সময় অনুযায়ী একটি বাইসাইকেল চালানো যাবে। আমরা শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জোবাইক সার্ভিস চালু করি। আমাদের উদ্যোগটি ভিন্নধর্মী হওয়ায় প্রথমদিকে সামান্য জটিলতা দেখা গেলেও ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয় হতে থাকে। কিন্তু বিপত্তি বাধে যখন করোনা মহামারীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘসময় ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় জোবাইক বড় কার্যক্রম বন্ধ করে। তবে এখন নতুন রূপে ফিরে আসছে জোবাইক।

কক্সবাজার,জোবাইক
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Transcend