জাতীয় সংসদে সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, সব পক্ষকে খুশি করার বাজেটই দিয়েছেন তিনি। তবে বেশি খুশি করার চেষ্টা করেছেন নিম্ন আয়ের মানুষকে। তাঁর উপস্থাপিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটটি মূলত গরিব-বান্ধব বাজেট।
অর্থমন্ত্রী বলেন, তিনি দেখতে পাচ্ছেন নিকট ভবিষ্যতে দেশের জন্য খুবই ভালো অবস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। ডলার সংকটও কেটে যাবে। কারণ, রপ্তানি আয়ে ও প্রবাসী আয় ইতিবাচক দিকে যাচ্ছে।
এ দেশের জমিতে আগে দুটো ফসল হলেও এখন হয় তিনটা-এমন মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি খুবই আশাবাদী। আমদানি ভিত্তিক দেশের পরিবর্তে আমরা ধীরে ধীরে রপ্তানি ভিত্তিক দেশে পরিণত হব। এ জন্য কৃষি খাতে আরও বেশি ভর্তুকি দেব। কৃষি খাতে ভর্তুকি দিতে আমাদের টাকার কোনো অভাব নেই।’
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, সর্বজনীন পেনশন চালু হলে টাকা রাখার জায়গা পাব না। আয় আসবেই। আয় বৃদ্ধির এ ছাড়াও নানা পথ তৈরি হচ্ছে। পদ্মা সেতুসহ প্রত্যেকটা সেতু থেকে টোল আদায় হবে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) রাজস্ব বৃদ্ধির ব্যাপারে যে পরামর্শ দিয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, সংস্থাটি সব সময় ভালো পরামর্শ দেয়। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে খুব সহায়ক হয় তাদের পরামর্শ। তারা সব সময় বিকল্প পথ দেখায়। বিশ্বব্যাংকের চেয়ে বেশি পথ বাতলিয়ে দেয় সংস্থাটি। বিশ্বব্যাংক অনেকটা সহজ পথে চলে।
সংসদের চলতি অধিবেশনেই আয়কর আইন পাস হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। বলেন, তার আগে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে এর নানা দিক নিয়ে আলোচনা হবে।