দেশিয় সিরামিক শিল্প রক্ষায় বিদেশে তৈরি টাইলস্ আমদানি ক্ষেত্রে ন্যুনতম ট্যারিফ মূল্য হ্রাস না করে আরও বৃদ্ধির আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন-বিসিএমইএ'র নেতৃবৃন্দ।পাশাপাশি দেশিয় সকল প্রকার টাইলস্ এবং স্যানিটারি পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে আরোপিত সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২১-২২ ঘোষণা পরবর্তী আজ জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান বিসিএমইএ নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লার সভাপতিত্ত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক ইরফান উদ্দিনসহ সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
বিসিএমইএ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন , যেখানে দেশিয় পণ্যের উপরে উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং বিক্রয়কালীন সময়ে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর আরোপ রয়েছে, সেখানে তৈরি পণ্যের আমদানি পর্যায়ে ট্যারিফ মূল্য হ্রাস করার ফলে দেশিয় পণ্য অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হবে। এতে করে এই খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ কমে যাবে, ফলে কর্মসংস্থান সুযোগের সম্ভাবনাও ক্ষীণ হবে । বাজার সংকুচিত হলে সিরামিক খাতটি রুগ্ন শিল্পখাত হিসাবেও পরিণত হতে পারে। এতে আর্থিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে।যেখানে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে সিরামিক শিল্প এমনিতেই টিকে থাকতেই হিমসিম খাচ্ছে। আর তাই দেশিয় সিরামিক শিল্প সুরক্ষায় বিদেশে তৈরি টাইলস্ আমদানি পর্যায়ে ন্যুনতম ট্যারিফ মূল্য হ্রাস না করে আরও বৃদ্ধি করা জরুরি ।
বিসিএমইএ সাধারন সম্পাদক ইরফান উদ্দিন বলেন , দেশিয় টাইলস্ এবং স্যানিটারি পণ্য এখন কোন বিলাসী পণ্য হিসাবে বিবেচিত হয় না। স্বাস্থ্য সম্মত গৃহ নির্মাণে এসব পণ্য অপরিহার্য গৃহনির্মাণ উপকরণ হিসাবে ব্যবহার হয়। দেশিয় পণ্যের উপরে উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে আরোপিত সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হলে মূল্য হ্রাস পাবে, ফলে ব্যবহারের মাত্রাও বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে বিক্রয় বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয়ের পরিমানও বৃদ্ধি পাবে। আর তাই দেশিয় সকল প্রকারের টাইলস্ এবং স্যানিটারি পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে আরোপিত সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার জরুরি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিসিএমইএ'র ভাইস প্রেসিডেন্ট মই নুল ইসলাম , পরিচালক রাশেদ মাইমুনুল ইসলাম , আজিজুল হাকিম সুমন ও রুসলান নাসির।