আবারও বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। ফলে বাংলাদেশি নাগরিকরা এখন দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবে না। আজ শুক্রবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ থেকে ‘নেগেটিভ সনদ’ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছে করা করোনা পরীক্ষায় যাত্রীদের অনেকের ফল ‘পজিটিভ’ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোরিয়া সরকার।
আজ সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় আগত যাত্রীদের মধ্যে কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্তের হার বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আজ (১৬ এপ্রিল) থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।’
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে চিঠি পাওয়ার পরই বাংলাদেশ দূতাবাস এই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
এর আগে, ঢাকার কোরিয়ান দূতাবাস এ বিষয়ে বাংলাদেশকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সর্তক করেছিল। এ নিয়ে গত ৯ এপ্রিল দ্য ডেইলি স্টারের প্রকাশিত ‘দ. কোরিয়ায় বাংলাদেশি প্রবেশ: সর্বোচ্চ সতর্কতা, নয়তো নিষেধাজ্ঞা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছিল।
প্রতিবেদন বলা হয়েছিল, গত দুই মাসে দেশ থেকে ‘নেগেটিভ সনদ’ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছে করা করোনা পরীক্ষায় বাংলাদেশিদের অনেকের ফল ‘পজিটিভ’ এসেছে। সেই কারণেই ভিসা নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যার ইঙ্গিত পাওয়া যায় গত ৫ এপ্রিল ঢাকার দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে। যেখানে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে। যা কোরিয়ান কর্তৃপক্ষের জন্য গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিষেধাজ্ঞা এড়াতে করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্ক ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর তখন জোর দিয়েছিল পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ফেব্রুয়ারিতে নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর মার্চে ১৭ জন ও চলতি মাসে এখন পর্যন্ত ১৬ জন বাংলাদেশ থেকে ‘করোনা নেগেটিভ সনদ’ নিয়ে কোরিয়া গিয়ে পরীক্ষায় ‘পজিটিভ’ শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এজাজ মাহমুদ, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক