গরম ও আর্দ্রতার কারণে কয়েক সপ্তাহ ধরেই অস্বস্তি চলছে। আগামী কয়েক মাস এমনই আবহাওয়া থাকবে। তাই রাতে শুতে গেলে এসি চালানো এক প্রকার বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু সারা রাত এসি চললে তার প্রভাব দেখা যাবে ইলেকট্রিক বিলে। মোটা টাকার বিল দেখে হকচকিয়ে উঠতে পারেন আপনি! কিন্তু গোটা রাত এসি চালিয়েও কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন
সঠিক তাপমাত্রা সেট করুন - রাতে এসি চালানোর সময় সঠিক তাপমাত্রা সেট করুন। তাপমাত্রা যত কমাবেন, কম্প্রেসর তত বেশি চলবে, ফলে তত বেশি বিদ্যুৎও খরচ হবে। খুব সম্প্রতি একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, এসি চালানোর সময় প্রত্যেক ডিগ্রি তাপমাত্রা কমানোর জন্য ৬ শতাংশ অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাই, আপনি যত বেশি তাপমাত্রা সেট করবেন, তত কম বিদ্যুৎ খরচ হবে।
18 °C-র বদলে তাপমাত্রা 24 °C রাখুন - গরমের সময় দিনের বেলায় বাইরে তাপমাত্রা 34-38 °C-এর মধ্যে ওঠা নামা করতে থাকে। তাই 24 °C-এ এসি-র তাপমাত্রা সেট করলে অনেকটা আরাম পাবেন। এছাড়াও শরীরের তাপমাত্রা 36-37 °C-এর মধ্যে থাকে। যেহেতু প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রার জন্য 6 শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়, তাই এবার নিজের অভ্যাস বদল করুন। রাতে 18 °C-এ এসি-র তাপমাত্রা না রেখে, 24 °C-এ ঘুমানোর অভ্যাস শুরু করুন। কয়েক দিনের মধ্যেই বুঝতে পারবেন, এই তাপমাত্রাতেও আরামে ঘুমানো সম্ভব।
ঘরের দরজা, জানালা সঠিকভাবে বন্ধ করুন - এসি চালানোর সময় ঘরের প্রত্যেকটি দরজা ও জানলা সঠিকভাবে বন্ধ করুন। এছাড়াও আপনার সব দরজা ও জানলা সঠিকভাবে সিল হচ্ছে কী না, তা পরীক্ষা করুন। যদি তা না করা থাকে, তাহলে ঘরের প্রত্যেক দরজা জানালা সঠিকভাবে সিল করুন। প্রয়োজনে পর্দা টেনে দিন।
ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস বন্ধ রাখুন - ঘরে টিভি, ফ্রিজ ও অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস থাকলে তা থেকে তাপ নির্গত হয়। রাতে এসি চালানোর আগে এই ধরনের ডিভাইস বন্ধ করে রাখলে কম বিদ্যুৎ খরচ হবে।
প্রয়োজনে এসি বন্ধ করুন - অনেকেই রাতে এসি চালিয়ে শুয়ে সকালে কাঁপতে থাকেন। গোটা রাত এসি চলার কারণে সকালে ঘর অত্যাধিক ঠাণ্ডা হয়ে যায়। এই কারণে এসি-র টাইমার ব্যবহার করে ঘুম থেকে ওঠার ১-২ ঘণ্টা আগে এসি বন্ধের সময় সেট করে রাখুন। তার ফলে আপনি অনেকটা বিদ্যুৎ বাঁচাতে পারবেন। একই সঙ্গে সকালে ঠান্ডায় হু হু কাঁপতেও হবে না!
অন্যদিকে গোটা দিন ঘরে এসি চললে, আপনি নির্দিষ্ট সময় অন্তর ১-২ ঘণ্টা করে এসি বন্ধ রাখতে পারেন।
এসি-র সঙ্গে ফ্যানও চালান - শুধুমাত্র এসি চালিয়ে ঘর ঠান্ডা না করে, সেই সঙ্গেই সিলিং ফ্যানও চালান। তার ফলে অনেক বেশি তাপমাত্রায় এসি চালালেও আপনার ঘরের প্রত্যেক কোনায় ঠান্ডা হাওয়া পৌঁছে যাবে।
নিয়মিত সার্ভিস করান - এসি-র নিয়মিত সার্ভিস করান। এর ফলে আপনার এসি-র এফিসিয়েন্সি বেশি থাকবে। তাতে আপনি অনেক কম বিদ্যুৎ খরচ করে ঘর ঠান্ডা রাখতে পারবেন।