স্মার্টফোন তৈরি বন্ধ করে দিচ্ছে বলে জানিয়েছে এলজি ইলেকট্রনিকস। দক্ষিণ কোরিয়ার ইলেকট্রনিকস জায়ান্টটি জানুয়ারিতে বলেছিল, এ খাতে তাদের ছয় বছরে ক্ষতি ৪.৫ বিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকার মতো।
এক বিবৃতিতে সোমবার তারা স্মার্টফোনের বাজার ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এলজি মোবাইল ফোনে নানা ধরনের উদ্ভাবন দেখিয়েছে। এর মধ্যে আছে আলট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেলের ক্যামেরা। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৩ সালে তৃতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক হিসেবে সামনে ওঠে আসে। কিন্তু ভীষণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকা ছিল কঠিন।
স্যামসাং ও অ্যাপলের মতো বড় প্রতিযোগীরা সামনে তো ছিলই, পাশাপাশি হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার দুই ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ে এলজি। পরে ব্যবসার শেয়ার বিক্রির চেষ্টা করেও সুবিধা করতে পারেনি।
এখনো উত্তর আমেরিকায় তৃতীয় জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হলেও এলজির হাত থেকে ফসকে গেছে অন্যান্য বাজার। তবে নিজ দেশে এর অবস্থান ভালো।
সোমবারের বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, মোবাইল ফোনের ‘অবিশ্বাস্যভাবে প্রতিযোগিতামূলক’ খাত থেকে সরে এসে মনোযোগ দেওয়া হবে বৈদ্যুতিক গাড়ির যন্ত্রাংশ, সংযোগকারী ডিভাইস, স্মার্ট হোমস, রোবোটিকস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিকে।
গত বছর এলজি ২.৮ কোটি ফোন সরবরাহ করে, অন্যদিকে স্যামসাং-এর সংখ্যা ছিল ২৫.৬ কোটি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এলজি সরে যাওয়ায় লাভবান হবে দেশীয় প্রতিদ্বন্দ্বী সামস্যাং এবং চীনের ওপো, ভিভো ও শাওমির মতো প্রতিষ্ঠানগুলো।
অন্যান্য খাতের মতো, মোবাইল ফোনের বিক্রিতেও করোনার তুমুল প্রভাব পড়েছে। ২০২০ বিক্রি কমেছে ১০ শতাংশের মতো।