শাওমি গত রবিবার বাংলাদেশের বাজারে উন্মোচন করেছে ২০২১ সালের সবচেয়ে পাতলা ও হালকা ওজনের স্মার্টফোন মি ১১ লাইট। নজরকাড়া ডিজাইনের এই ডিভাইসটি ফ্ল্যাগশিপ লেভেলের পারফরম্যান্স দেবে। হালকা ওজনের পাশাপাশি ভালো পারফরম্যান্সের স্মার্টফোন খুঁজলে মি ১১ লাইট হতে পারে আপনার জন্য সেরা ডিভাইস।
স্মার্টফোনটির উন্মোচন উপলক্ষে শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘শাওমি ব্র্যান্ড হিসেবে উপলব্ধি করতে পারে মি ফ্যানদের জন্য প্রযুক্তি কতটা অপরিহার্য। সে কারণেই মি সিরিজের মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য অর্থবহ উদ্ভাবন ও সেরা প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের সকল চাহিদা পরিপূর্ণ করা। মি ১১ সিরিজটিও এর ব্যতিক্রম নয়। আগের সফলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে, ফ্যাশনেবল তরুণদের জন্য হালকা-পাতলা ডিজাইন ও ফ্ল্যাগশিপ লেভেলের পারফরম্যান্স দিতে আমরা নিয়ে এসেছি মি ১১ লাইট। ফোনটির ওজন মাত্র ১৫৭ গ্রাম; মি ১১ লাইট ডিভাইসটিত আছে পাতলা ও প্রিমিয়াম ফিনিশ, প্রায় বেজেলহীন ৯০ হার্জ ডিসপ্লে এবং দারুন ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপে।’ ২০২১ সালের সবচেয়ে পাতলা ও হালকা ওজনের স্মার্টফোন মি ১১ লাইট এর পুরুত্ব মাত্র ৬.৮মিমি এবং ওজন মাত্র ১৫৭ গ্রাম। মি ১১ লাইট ফোনটি হাতে ধরে ব্যবহারের জন্য খুবই উপযোগী একটি ডিভাইস। ফোনটির সামনে পাঞ্চ-হোল ডিজাইনের ক্যামেরা ও বেজেলহীন ডিসপ্লে রয়েছে। যারা বড় স্ক্রিন চান তাদের জন্যই ডিভাইসটি ডিজাইন করা হয়েছে। ফোনটির পাশে দেয়া হয়েছে কার্ভড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, যা খুব দ্রুত ও মসৃণভাবে ফোন আনলক করার অভিজ্ঞতা দিবে।
মি ১১ লাইট ফোনটিতে দেয়া হয়েছে স্পোর্টস ৬.৫৫ ইঞ্চির ১০-বিট অ্যামোলেড ডট-ডিসপ্লে। ডিভাইসটি আসছে ১.০৭ বিলিয়ন অন স্ক্রিন কালারে, যা এর পূর্বসূরিদের থেকে ৬৪ গুণ বেশি (৮-বিট ডিসপ্লে)। ফোনটির ডিসপ্লেতে চমৎকার কালার গ্রাডিয়েশন থাকায় ফোনটি দিয়ে যেকোনো অ্যাঙ্গেল থেকে ছবি দেখার ক্ষেত্রে দেবে অসাধারণ অভিজ্ঞতা। ডিসপ্লেতে ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেট ও ২৪০ হার্জ টাচ-স্যাম্পল রেট থাকায় টাচ হবে দুর্দান্ত, ফলে ব্যবহারকারীরা ডিসপ্লেতে কোনো ল্যাগ পাবেন না। ডিসপ্লের স্থায়িত্ব বাড়াতে সামনে ও পিছনে দেয়া হয়েছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ৫ এর সুরক্ষা।
মি ১১ লাইট ডিভাইসটি স্পষ্ট শব্দের সঙ্গে দেবে দুর্দান্ত সব ছবি। মি ১১ লাইট ফোনে রয়েছে ডুয়েল স্পিকার সেটআপ, সাপোর্ট করে হাই-রেস অডিও এবং সঙ্গে আছে হাই-রেস অডিও ওয়্যারলেস সার্টিফিকেশন, তৈরি করা যাবে সব মিডিয়ার জন্য কনটেন্ট।
সরু ও হালকার মধ্যে মি ১১ লাইট ফোনটিতে দেয়া হয়েছে ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ। এর প্রাইমারি ক্যামেরা ৬৪ মেগাপিক্সেলের, আছে ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স এবং তার সঙ্গে একটি ৫ মেগাপিক্সেলের টেলিম্যাক্রো ক্যামেরা। মি ১১ লাইট ফোনটিতে পাওয়া যাবে সেরা ক্যামেরা পারফরম্যান্স। খুব সহজেই ফোনটি দিয়ে ব্যবহারকারীরা প্রফেশনাল গ্রেডের ছবি তুলতে পারবেন। ওয়াইড শট নেয়ার জন্য সহায়তা করবে ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড সেন্সর, যেখানে সর্বোচ্চ ডিটেইলসহ কোনো বিষয়ের ছবি তুলতে সহায়তা করবে ৫ মেগাপিক্সেলের টেলিম্যাক্রো ক্যামেরা।
মি ১১ লাইট এর সামনে আছে ১৬ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। এই ক্যামেরা দিয়ে দিন ও রাতের যে কোনো সময় স্পষ্ট ও আকর্ষণীয় সেলফি তুলতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। প্রাকৃতিক কালার ও গতিশীল ইমেজ প্রসেসিংসহ ৩০ এফপিএস-এ ফোরকে ভিডিও শ্যুট করা যাবে।
পূর্বসূরিদের মতো ফ্ল্যাগশিপ পারফরম্যান্স দিতে মি ১১ লাইট ফোনটিতে দেওয়া আছে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৭৩২ জি প্রসেসর। এটি ৮ ন্যানোমিটার প্রযুক্তিতে তৈরি, যা দেবে শক্তিশালী, দক্ষ ও অসামান্য গতি। প্রসেসরটি তৈরি করা হয়েছে গেইমিং পারফরম্যান্সের জন্য, এ জন্য দেয়া হয়েছে আল্ট্রা-লাইট লিকুইড-কুল প্রযুক্তি, যা স্মার্টফোনটিকে গরম হতে দেয় না। মি ১১ লাইট ফোনটিতে মাল্টিটাস্কিং এ পাওয়া যাবে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। এ ছাড়া থাকছে এলপিডিডিআর৪এক্স র্যাম এবং ইউএফএস ২.২, এটি ফোনটির পারফরম্যান্সকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
স্মার্টফোনে শক্তিশালী পারফরম্যান্স দিতে প্রয়োজন শক্তিশালী ব্যাটারি। তাই মি ১১ লাইট ডিভাইসে দেয়া হয়েছে শক্তিশালী ৪,২৫০ এমএএইচের ব্যাটারি। ফোনটি সাপোর্ট করবে ৩৩ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং। শক্তিশালী ব্যাটারি যে কোনো ভারী কাজ করার পরও সারা দিন ব্যাকআপ দেবে। হালকা ও পাতলা ফোন হিসেবে এটাই প্রথম যেখানে এতো শক্তিশালী ব্যাটারি দেয়া হয়েছে।
মি ১১ লাইট স্মার্টফোনটি দেশের বাজারে জ্যাজ ব্লু, স্ক্যানি কোরাল এবং ভিনিল ব্ল্যাক তিনটি কালার ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে। অচিরেই বাংলাদেশের অথরাইজড মি স্টোর, পার্টনার স্টোর ও রিটেইল চ্যানেলে পাওয়া যাবে ফোনটি। ফোনটির ৬+১২৮ জিবি ও ৮+১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের দাম যথাক্রমে ২৯,৯৯৯ ও ৩১,৯৯৯ টাকা।