প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন বিল গেটস।স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় জলবায়ু সম্মেলনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও মাইক্রোসফট সহ-প্রতিষ্ঠাতার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তবে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।সম্মেলনে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী প্যারিস সম্মেলনের প্রতিশ্রুতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে তার আলোকে কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনার জাতীয় মাত্রা নির্ধারণের জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার উপর এখন গুরুত্ব দিচ্ছেন।
এর আগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছিলেন বিল গেটস।ওই সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, ন্যাশনাল অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল অব নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম অব বাংলাদেশের চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন।বিল গেটস, এই নামের পর তাঁকে আর পরিচয় করিয়ে দেয়ার দরকার হয় না।
পৃথিবী বদলে দেয়া মানুষদের একজন তিনি। এই মানুষকে পুরো বিশ্ব চেনে বিজনেস ম্যাগনেট, কম্পিউটার প্রোগ্রামার, আবিষ্কারক, দানবীর, সোশ্যাল ওয়ার্কার হিসেবে।বিশ্বের অন্যতম ধনী মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার। ৫১ বিলিয়ন ডলারের বেশি তহবিল নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দাতব্য সংস্থাগুলোর একটি এ ফাউন্ডেশন। সেখান থেকেই ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়তে ৫ হাজার কোটি ডলারের বেশি দান করেছেন। এছাড়াও তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোতে শত শত কোটি ডলার সহায়তা করে চলেছেন।বাংলাদেশেও কাজ করে থাকে এই বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। তবে তাদের বেশিরভাগ তহবিল সরাসরি বাংলাদেশে আসেনা। তারা গ্লোবাল ফান্ডসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে অর্থ দেয় আর সেখান হতে বাংলাদেশে কাজ করা এনজিওগুলো অর্থ পায়।