আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ দল।
আজ বাছাই পর্বের ফাইনালে বাংলাদেশ ৭ রানে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড নারী দলকে। বাছাই পর্বে চ্যাম্পিয়নের তকমা নিয়ে আগামী বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপে খেলবে নিগার-সালমারা। ফাইনালে উঠে আগেই আগামী বছরের বিশ^কাপে খেলা নিশ্চিত করেছিলো বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড।
এর আগে ২০১৪ সালে স্বাগতিক হবার সুবাদে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০১৫ সালের বাছাই পর্বে রানার্স-আপ এবং ২০১৮ ও ২০১৯ সালে দু’বার বাছাই পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপে খেলেছিলো বাংলাদেশ।
আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে আজ টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ওপেনার ফারজানা হকের ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ২৩ রান পায় বাংলাদেশ। জুটিতে মাত্র ৬ রান অবদান রাখেন আরেক ওপেনার মুরশিদা খাতুন। মুরশিদার মত ৬ রান করেন তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক নিগার সুলতানা।
এরপর রুমানা আহমেদের সাথে দলের রানের চাকা ঘুড়িয়েছেন ফারজানা। ৪৯ রানের জুটিতে দলের স্কোর তিন অংকের কাছাকাছি নিয়ে যান তারা। ১৬তম ওভার শেষে দলের রান ৯৬তে রেখে আউট হন রুমানা। ২০ বলে ২১ রান করেন তিনি। তবে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ১৭তম ওভারে আউট হন ফারজানা। ৭টি চারে ৫৫ বলে ৬১ রান করেন তিনি।
ফারজানার আউটের পর পরের দিকের ব্যাটাররা দ্রুত রান তুলতে পারেননি। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২০ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
১২১ রানের টার্গেট দিয়ে আয়ারল্যান্ডকে শুরুতেই চেপে ধরে বাংলাদেশের বোলাররা। পাওয়ার প্লেতে নাহিদা আকতার ও সানজিদা আকতার মেঘলা ২৪ রানে আইরিশদের ৩ উইকেটের পতন ঘটান। পাওয়ার-প্লে শেষ হবার পরও বাংলাদেশ বোলারদের দাপট অব্যাহত ছিলো।
রুমানা আহমেদ-শোয়েলি আকতারের বোলিং নৈপুন্যে ৭৬ রানে অষ্টম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।
নবম উইকেটে ৩৪ রান তুলে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন আয়ারল্যান্ডের আর্লিন কেলি ও কারা মারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলকে হার থেকে রক্ষা করতে পারেননি তারা। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১১৩ রান করে আইরিশরা। মারে ১৩ রানে আউট হলেও, অপরাজিত ২৮ রান করেন কেলি।
বাংলাদেশের রুমানা ২৪ রানে ৩টি উইকেট নেন। এছাড়া শোয়েলি-নাহিদা-সানজিদা ২টি করে উইকেট নেন।