‘ওয়ালটন রোড রাইডার মোটরবাইক ব্যাটারি প্রেজেন্টস সাহসিকার গল্প’ ক্যাম্পেইনে সেরা তিন বিজয়ী নারী বাইকারকে পুরস্কৃত করেছে মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন। সারা দেশে পরিচালিত ওই ক্যাম্পেইনে বাইকার হয়ে ওঠার ব্যক্তিগত লিখিত গল্প জমা দিয়েছিলেন এই নারীরা। নারী বাইকারদের পাঠানো বাছাইকৃত গল্প থেকে সেরা তিন বিজয়ী সাহসিকা পেলেন এই বিশেষ পুরস্কার। বিজয়ীরা হলেন ঢাকার কবিতা সানা, চট্টগ্রামের রুনা চৌধুরী এবং পটুয়াখালীর ওয়াহিদা পাপড়ি।
উল্লেখ্য, দেশ সেরা ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন। ব্যবসার পাশাপাশি নানা সামাজিক কর্মকাÐে যুক্ত থেকে সর্বস্তরের মানুষের প্রশংসা কুড়াচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ইতিবাচক বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সমাজ ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে দেশের শীর্ষ এই শিল্প-প্রতিষ্ঠান। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ‘সাহসিকার গল্প’ শীর্ষক বাংলাদেশের নারী বাইকারদের জন্য একটি ক্যাম্পেইন চালু করেছে ওয়ালটন ব্যাটারি বিভাগ। ক্যাম্পেইনে বাইকার নারীরা নিজেদের বাইক রাইডার হওয়ার গল্প শেয়ার করেছেন নির্দ্বিধায়। সব বাঁধা উপেক্ষা করে বাইক নিয়ে কিভাবে তারা এগিয়ে চলছেন সেই গল্প তুলে ধরেছেন। ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) নিশাত তাসনিম শুচির বিশেষ উদ্যোগে ও নির্দেশনায় নারী বাইকারদের জন্য পরিচালিত হয় প্রতিযোগিতামূলক ওই ক্যাম্পেইন।
বুধবার (১২ এপ্রিল, ২০২৩), রাজধানীতে ওয়ালটনের করপোরেট অফিসের অডিটোরিয়াম কক্ষে আয়োজিত ‘গ্র্যান্ড রিসেপশন’ প্রোগ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে সেরা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ওয়ালটন মাইক্রো-টেকের সিইও নিশাত তাসনিম শুচি। নারী বাইকারদের সম্মানে বিশেষ ইফতার মাহফিল আয়োজন করে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।
পুরস্কার বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রিজওয়ানা নিলু, চিফ মার্কেটিং অফিসার দিদারুল আলম খান, হেড অব অ্যাডমিন আবু সুফিয়ান, ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর আব্দুল্লাহ আল আসিফসহ ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ। অনুষ্ঠান স ালনায় ছিলেন ওয়ালটন ব্যাটারি বিভাগের সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর প্রকৌশলী নাহিদ আল মাহমুদ।
ওয়ালটন ব্যাটারির ব্র্যান্ডিং সেকশনের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অনিক আহমেদ জানান, ব্যাটারি বিভাগের সার্বিক তত্ত¡াবধানে আয়োজিত ক্যাম্পেইনে অংশ নিতে ওয়ালটন ব্যাটারির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজের ইনবক্সে এবং নির্ধারিত ই-মেইলে নারী বাইকাররা তাদের লিখিত গল্প পাঠিয়েছিলেন। তাদের পাঠানো গল্প থেকে বাছাইকৃত সেরা গল্পের জন্য প্রথম পুরস্কার বিজয়ী পেয়েছেন ৫০ হাজার টাকার গিফট ভাউচার। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ীরা পেয়েছেন যথাক্রমে ৩০ হাজার ও ২০ হাজার টাকার গিফট ভাউচার।
অনুষ্ঠানে ওয়ালটন ব্যাটারি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ী সাহসিকা কবিতা সানা। তিনি বলেন, নারী বাইকারদের নিয়ে কাজ করছে ওয়ালটন। এটা নারী বাইকারদের জন্য খুবই আনন্দের। পথে-ঘাটে, সড়কে-গণপরিবহনে নারীরা কী সব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছেন তাতে তেমন কারো আগ্রহ দেখা যায় না। এই জায়গাটিতে মনোযোগ দিয়েছে এবং এগিয়ে এসেছে ওয়ালটন। নারীর মসৃণ পথ চলায় ওয়ালটন ব্যাটারির এই উদ্যাগকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। পথ চলায় এভাবেই পাশে চাই ওয়ালটনকে।
সেরা বিজয়ী নারী বাইকারদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান মাইক্রো-টেকের সিইও নিশাত তাসনিম শুচি। তিনি বলেন, নারীদের বাইকার হয়ে ওঠার এবং তাদের বাঁধাহীন এগিয়ে চলার গল্প আমরা শুনতে চাই। সংগ্রাম ও সাহসিকতার সঙ্গে তাদের এই এগিয়ে চলার গল্প শুনছে ওয়ালটন। উদ্দেশ্য, সমাজে বাঁধাহীনভাবে নারীদের এগিয়ে চলায় সাহস যোগানো। নারীদের ক্ষেত্রে প্রচলিত সামাজিক সব ট্যাবু ভাঙ্গতে চায় ওয়ালটন। বাইক ব্যবহারের মাধ্যমে নারীদের পথ চলা যেন হয় বাঁধাহীন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।