এই মুহূর্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই ) দক্ষতা নিয়ে চর্চা গোটা বিশ্বজুড়ে। চা-এর দোকান থেকে অফিসের টেবিল সব জায়গাতেই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এআই ও তার ক্ষমতা। বিজ্ঞানীরা বলছেন শীঘ্রই মানুষের জায়গা দখল করবে কৃত্রিম রোবট। কাজ হারাবেন লাখ লাখ মানুষ।
যে প্রযুক্তি রাতের ঘুম কেড়েছে কর্মীদের তা নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা নেই নির্দিষ্ট একটি ইন্ডাস্ট্রিতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এআই আসার ফলে উকিল, অর্থনীতিবিদ থেকে লেখক, প্রশাসনিক কর্মীদের চাকরি সবথেকে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
হেন কোনও কাজ নেই যা করতে বা শিখতে পারে না এআই । কিন্তু এই একটি ক্ষেত্রে ব্যর্থ তাবড় কৃত্রিম প্রযুক্তি। এটি হল রিলিজিয়ন বা ধর্ম। এই ক্ষেত্রে নিযুক্ত কারও চাকরি দখল করতে পারবে না এআই , এমনই দাবি করা হয়েছে সাম্প্রতিক একটি গবেষণায়।
রিলিজিয়ন-কে ইন্ডাস্ট্রি বলা ভুল হবে। কিন্তু প্রতিটি ধর্মে ধার্মিক কাজ পরিচালনা করার জন্য নানা মানুষের প্রয়োজন হয়। মানুষের জন্য সমাজসেবায় নিয়োজিত থাকেন অসংখ্য কর্মী। তাদের রুটি-রুজি সবটাই এর উপর নির্ভরশীল। কিন্তু গবেষণা বলছে, বিশ্বের একাধিক শিল্প বা ইন্ডাস্ট্রি এআই দখল করলেও এই ক্ষেত্রে মানুষের কাজ নিতে পারবে না আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এআই যদি ধর্মীয় কাজে অংশগ্রহণ করতে শুরু করে তাহলে কি তাদের মানুষ বিশ্বাস করবে? এই প্রশ্নই তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি একটি ঘটনায় দেখা গেছে যেখানে পুরোহিত না থাকায় এআই পুরোহিতের তত্ত্বাবধানে বিয়ে করে এক দম্পতি। যা নিয়ে তুমুল তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
অনেকের মতে, ধর্মে এআই এর ব্যবহার বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করতে পারে। সম্প্রতি জাপানের কিয়োটোতে কোডাই-জি বৌদ্ধ মন্দিরে মিন্ডার নামক একটি রোবট ব্যবহার শুরু হয়েছে। তাঁকে দেখতে অবিকল মানুষের মতোই। ধর্ম প্রচার করার সময় তার চোখ বুলিয়ে নেওয়ার দৃশ্য নজর কেড়েছে অনেকের।
জানা গিয়েছে, এই রোবট তৈরি করতে ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ১০ লাখ ডলার। মন্দিরে দর্শন করতে যান এমন ৩৯৮ জনের একটি সমীক্ষা করা হয়। সেখানে দেখা যায়, যারা মিন্ডার রোবোটের প্রার্থনা শোনেন তারা কম অনুদান দেন। অন্যদিকে যারা মানব পুরোহিতের প্রার্থনা তারা বেশি অনুদান দেন।
সবমিলিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সক্ষমতা আলোড়ন ফেলে দিয়েছে সারা দুনিয়ায়। ভবিষ্যতে এই ক্ষেত্রে আর কী কী উদ্ভাবন দেখতে পাওয়া যায় তাই এখন দেখার বিষয়।