সরকারের প্রযুক্তিবান্ধব নীতির ফলে দেশে মোবাইল ফোন আমদানির প্রয়োজন ফুরিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
‘দেশে স্যামসাং, ওপোসহ ১৪টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল সেট উৎপাদন করছে। এ সব কারখানায় এখন ফোরজি সেটও তৈরি হচ্ছে। ফলে আমাদের সেট আমদানির প্রয়োজনীয়তা নেই’ বলেন তিনি।
মঙ্গলবার মোবাইল ফোন অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএমএ আয়োজিত ‘এচিভিং মোবাইল-এনেবেলড ডিজিটাল ইনক্লিউশন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল গোলটেবিলে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশ ১৯৮৯ সালে মোবাইল ফোন যুগে প্রবেশ করলেও মনোপলি ব্যবসার কারণে মোবাইল ছিল সাধারণের নাগালের বাইরে। ১৯৯৭ সালে ৪টি অপারেটরকে মোবাইল ফোন পরিচালনার লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে মোবাইল সাধারণের নাগালে পৌঁছে দেওয়া হয়।
‘২০১৩ সালে থ্রিজি চালু করা অবধি মোবাইল প্রযুক্তি কেবল কথা বলার কাজেই ব্যবহৃত হতো। এরপর ২০১৮ সালে ৪জি চালু হবার পর প্রকৃত মোবাইল ইন্টারনেটের যুগে প্রবেশ হলো। মাত্র তিন বছরে করোনা থাকার পরও মোবাইল অপারেটররা দেশব্যাপী ফোরজির সম্প্রসারণ করেছে। এর ব্যবহারের পরিধি বাড়াতে সরকার সকল উদ্যোগ নেবে’ বলেন তিনি।
দেশের তৃণমূল জনগোষ্ঠীর ডিজিটাল সেবা গ্রহণ নিশ্চিত করতে বিশেষ করে করোনাকালে দেশের প্রত্যন্ত জনগোষ্ঠীর ডিজিটাল চিকিৎসা সেবা এবং শিক্ষা নিশ্চিত করতে মন্ত্রী শতভাগ বিটিএস ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় আনার জন্য অপারেটরগুলোকে তাগিদ দেন মন্ত্রী।
গোলটেবিলে জিএসএমএ নেতারা মোবাইল ফোন বিকাশে বাংলাদেশের অবস্থান, ভবিষ্যত করণীয় ইত্যাদি বিষয়ে বেশ কিছু পরামর্শ তুলে ধরেন। তারা ডিজিটাল দক্ষতা ও সচেতনতা তৈরিতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
বিটিআরসি, টেলিটক, রবি, বাংলালিংক, এমটব, আইটিইউ এর এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিনিধি এবং এটুআইয়ের সিনিয়র পলিসি এডভাইজার আনির চৌধুরী গোলটেবিলে আলোচনা করেন।
গোলটেবিল সঞ্চালনা করেন জিএসএম কর্মকর্তা রাহুল শাহ এবং জুলিয়ান গরমেন।