বাংলাদেশ ৬০টিরও বেশি দেশে ১০০ কোটি ডলারের বেশি আইসিটি পণ্য রপ্তানি করে, যেখানে শীর্ষ গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র।
এসময় বাংলাদেশ নিয়ে ‘ইউএসএআইডির বিস্তৃত বেসরকারি খাত মূল্যায়ন ২০১৯’ প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আইসিটি শিল্প ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় পাঁচগুণ বৃদ্ধি পাবে এবং প্রায় পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগে আইসিটি শিল্পের জন্য ২৮টি হাই-টেক পার্ক তৈরি করছে এবং মার্কিন কোম্পানিগুলোকে আইসিটি খাতে বিনিয়োগ উৎসাহী করতে সরকার হাই-টেক পার্কের প্রস্তাব রাখছে।
মঙ্গলবার ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পাঠানো ভিডিও বার্তায় দুদেশের চলমান বাণিজ্য সম্পর্ক তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন,‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ সরকারের ‘রূপকল্প ২০২১’ এর যে অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়েছে । রাষ্ট্র পরিচালনায় স্বচ্ছতার উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাড়াতে ‘প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষম’ আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কেও ধন্যবাদ জানান তিনি।
বক্তব্যের শুরুতে শেখ হাসিনা বলেন, ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে যুক্ত হতে পেরে আমি আনন্দিত। এই অনুষ্ঠান এমন সময়ে হচ্ছে যখন আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশতম বার্ষিকী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে; ৩০ লাখ শহিদ ও দুই লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের ছাইয়ের উপর সমৃদ্ধ বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশী বিনিয়োগকে সহজ করতে বাংলাদেশ ক্রমাগতভাবে ভৌত, আইনি ও আর্থিক অবকাঠামোর উন্নতিসাধন করছে। দ্রুত শিল্পায়নের জন্য আমার সরকার ১০০টি ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠা করছে। শিল্প কারখানা গড়তে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর জন্য নিবেদিত একটি ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ আমরা তৈরি করে দিচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়নের পথে যাত্রার শক্তিশালী অংশীদার’ হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি আমাদের রপ্তানির বৃহত্তম গন্তব্য, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস, দীর্ঘকালের উন্নয়ন অংশীদার এবং প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ উৎস।”