জেনোফ্যাক্স, একটি হেলথ কেয়ার টেক স্টার্টআপ, এআই-সক্রিয় হেলথ-মেট্রিক ডিটারমিনেশন (AIeh-MD) নামে একটি নতুন প্রযুক্তি চালু করেছে যা একজন ব্যক্তির অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম নিরীক্ষণ করে বিপাকীয় প্রবণতা পূর্বাভাস দিতে পারে এবং স্থূলতার মতো অবস্থার প্রাথমিক লক্ষণগুলি সনাক্ত করতে পারে। ডায়াবেটিস, প্রদাহজনক অন্ত্রের রোগ ইত্যাদি।
ডক্টর আবেদ চৌধুরী এবং অস্ট্রেলিয়ান-বাংলাদেশী উদ্যোক্তা- টেলিঅস’র সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জি. জাহাঙ্গীর আলমের উদ্ভাবনী ভাবনাই জন্ম দিয়েছে জেনোফ্যাক্সের। স্বাস্থ্যসেবার সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ক্ষেত্রগুলোকে মোকাবিলা করার জন্য কোম্পানিটি জিনোমিক সায়েন্স এবং বায়োইনফরমেটিক্সের জন্য নিবেদিত।
প্রতিটি মানবদেহের স্বতন্ত্রতা এবং রোগের প্রতি এর প্রতিক্রিয়াকে স্বীকৃতি দিয়ে জেনোফ্যাক্স সনাতনী প্যাথলজির সীমাবদ্ধতাগুলোকে অতিক্রান্ত করে পার্সোনালাইজড সুপারিশসমূহে বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার লক্ষ্যে ব্রতী।
২০২২ সালের জুনে জেনোফ্যাক্স সফলভাবে তার প্রথম পণ্য, গাঁট স্ট্যাটাস (Gut Status) টেস্ট কীট চালু করে। এই ফ্ল্যাগশিপ পণ্যটি উদ্ভাবনী জিনোমিক বিজ্ঞান এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে মল মাইক্রোবায়োম বিগ ডাটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে অন্ত্রের স্বাস্থ্যের একটি ব্যাপক মূল্যায়ন প্রদান করে। গাঁট স্ট্যাটাস স্বতন্ত্রক্রিত অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে মানুষের ক্ষমতায়ন ঘটায়, তাদেরকে সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে সক্ষম করে।
জেনোফ্যাক্স অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন বাজারে চালু হয়েছে এবং এখন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার ল্যান্ডস্কেপ অন্বেষণ করতে প্রস্তুত এবং স্বতন্ত্রক্রিত চিকিৎসাকে আরও এগিয়ে নিতে।
জাহাঙ্গীর আলম, রুয়েট থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর স্নাতক, ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসেন। একই বছর, তিনি টেলিঅস প্রতিষ্ঠা করেন, একটি বৈশ্বিক এন্টারপ্রাইজ যা উদ্ভাবনী প্রযুক্তি সমাধান তৈরি করে। জেনোফ্যাক্সের অন্য প্রতিষ্ঠাতা, প্রখ্যাত জেনেটিসিস্ট, লেখক এবং বিজ্ঞানী ডক্টর আবেদ চৌধুরী, জীববিজ্ঞান এবং জেনেটিক্সে ৪০ বছরের বেশি দক্ষতা রয়েছে।সম্প্রতি জেনোফ্যাক্স, বাংলাদেশ এবং ইয়র্ক হাসপাতাল লিমিটেডের যৌথ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা পেশাজীবীরা অংশ নেন।
সেমিনারে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম গবেষণা বিশেষজ্ঞ অস্ট্রেলিয়া-ভিত্তিক জেনোফ্যাক্সের চীফ প্রধান বৈজ্ঞানিক ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড. আবেদ চৌধুরী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
প্রবন্ধের শিরোনাম ছিলো- ‘মাইক্রোবায়োম; আধুনিক চিকিৎসার ডিজিটাল দিগন্ত’।
ডা. আবেদ তার ও জিনোফ্যাক্সের জিনোমিক সায়েন্স এবং বায়োইনফরমেটিক্সের চিত্তাকর্ষক ও অনিন্দ্য যাত্রার বর্ণনা দেন সেমিনারে। টেকসই স্বাস্থ্যসেবার সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং প্রান্তের আধুনিক সমাধান বের করার জন্য নিবেদিত যাত্রা এটি । বিগ ডাটা দিয়ে সজ্জিত জেনোফ্যাক্সের লক্ষ্য পার্সোনালাইজড সুপারিশে বিপ্লব ঘটানো। এখানে এক বিজ্ঞানীর ব্যক্তিগত যাত্রা এই অবিস্মরণীয় যাত্রার সাথে মিলেছে।
অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকাতে জেনোফ্যাক্স অন্ত্রের অবস্থা পরীক্ষা এবং প্রোবায়োটিকস পণ্যগুলোর রয়েছে। এবং এটি শীঘ্রই বাংলাদেশে চালু করার পরিকল্পনা আছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইয়র্ক হাসপাতালের এমডি ডা. জগলুল আব্বাস মজুমদার, কান্ট্রি হেড জেনোফ্যাক্স মমতাজ এফ চৌধুরী এবং এমডি জেনোফ্যাক্স ইঞ্জি. মাহবুবুর রহমান।