আগামী দশকে দেশের সুদৃঢ় ভিত্তি তৈরিতে এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্বদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক দক্ষতার প্রবৃদ্ধি ও লক্ষ্যের সম্ভাবনা উন্মোচনে গ্রামীণফোন সম্প্রতি এর নিজস্ব ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট উদ্যোগের দ্বিতীয় সংস্করণ — ‘গ্রামীণফোন একপ্লোরারস ২.০’ উন্মোচন করেছে। ওরিয়েন্টেশন সেশন আয়োজনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ১ এপ্রিল ‘গ্রামীণফোন একপ্লোরারস ২.০’ যাত্রা শুরু করে। এ আয়োজনে সারাদেশ থেকে সম্ভাবনাময় ৩৪০ জন্য শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের আগ্রহ ও অনুপ্রেরণার কথা ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি, বলেন, ‘তরুণরাই আমাদের দেশের অন্যতম শক্তির উৎস। দেশের উন্নয়নে তরুণদের উন্নয়ন অত্যাবশ্যক। এক্ষেত্রে, দেশের তরুণরা কীভাবে তাদের প্রস্তুত করতে পারে এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অফুরন্ত সম্ভাবনা উন্মোচন করতে পারে তা পরিকল্পনায় গ্রামীণফোন এক্সপ্লোরারস ২.০ এর মতো উদ্যোগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি তরুনদের ভবিষৎ এর জন্য প্রস্তুতির জন্য এতাডেমিক শিক্ষার সাথে সাথে নানা বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।’
তরুণদের সম্ভাবনা উন্মোচনে এবং তাদের মানসিকতাকে ভবিষ্যতের দক্ষতার দিকে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে গ্রামীণফোনের ইনোভেটিভ আপস্কিলিং উদ্যোগ হচ্ছে জিপি এক্সপ্লোরারস। দেশের প্রতি অবদান রাখতে এবং সম্ভাবনা তৈরিতে ১২ সপ্তাহব্যাপী এ আপস্কিলিং প্রোগ্রাম গ্রামীণফোনের দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক অনুশীলনীরই অংশ। এ বছর জিপি এক্সপ্লোরার ২.০ -তে অংশগ্রহণকারী ও মেন্টরদের মধ্যে ভার্চুয়াল ও রিয়েল টাইম এনগেজমেন্ট অনুষ্ঠিত হবে, যার মূল লক্ষ্য থাকবে অংশগ্রহণকারীদের যোগাযোগে দক্ষতা, উদ্যোক্তা বিষয়ক দক্ষতা এবং ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
প্রাথমিকভাবে, জিপি এক্সপ্লোরার প্রোগ্রামে অংশ নিতে দেশের ৬৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪শ’র বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেন এবং এর মধ্য থেকে ৩৫৭ জনকে এ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত করা হয়। এ প্রোগ্রামের লক্ষ্য অংশগ্রহণকারীদের যোগাযোগ দক্ষতা, উদ্যোক্তা বিষয়ক দক্ষতা এবং ডিজিটাল দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি দেশে এবং বৈশ্বিকভাবে অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক জব মার্কেটে নিজেদের উপস্থাপনে এবং নিজের জায়গা করে নিতে তাদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটানো। এ প্রোগ্রামে ইন্টার্যাক্টিভ ডিজিটাল টুলসের মাধ্যমে ৭০ শতাংশ লার্নিং হবে অনলাইনে। এছাড়াও, সমন্বয়মূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে থাকবে ৩০ শতাংশ সরাসরি ক্লাস। অংশগ্রহণকারী তরুণদের জ্ঞান ও দক্ষতার বিকাশে জিপি এক্সপ্লোরার ২.০ -তে নিয়মিত কাউন্সেলিং ও এক্সপেরিয়েন্স শেয়ারিং সেশন অনুষ্ঠিত হবে।
এ নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, সেক্ষেত্রে আমাদের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুবিধা নিতে হবে। জিপি এক্সপ্লোরারের প্রথম সিজন সফলভাবে শেষ হয়েছে। তখনকার অংশগ্রহণকারীরা এখন আমাদের করপোরেট ইকোসিস্টেমের মধ্যে খুব ভালো করছে। জিপি এক্সপ্লোরার ২.০ -এর মাধ্যমেও আমরা এবার আরও ভবিষ্যতের নেতৃবৃন্দ খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারে প্রত্যাশী, যারা বাংলাদেশকে শিগগিরই একটি স্বনির্ভরশীল উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত করতে সহায়তা করবে এবং অবদান রাখবে।’
অনুষ্ঠানে এইচআর প্রফেশনাল হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের চিফ ডিজিটাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি অফিসার সোলায়মান আলম, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের হেড অব হিউম্যান রিসোর্সেস সাদ জসিম, গ্রামীণফোনের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার সৈয়দ তানভীর হোসেন, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের হিউম্যান রিসোর্সের ইউনিট চিফ লামিয়া বুশরা। গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশার অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এবং জিপি এক্সপ্লোরার কনসেপ্ট এবং কাঠামোর বিষয়ে ফারহানা ইসলাম একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। এছাড়াও, প্রথম ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আফরিন আফতাব ও মাহমুদ সাকিব তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।