আলোচনা-আশ্বাস কোনো কিছুতেই থেমে নেই রাজধানীর ঝুলন্ত তার কাটার অভিযান। বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো দক্ষিণ সিটির গ্রিন রোড এলাকার কলাবাগান-কাঠাল বাগান পর্যন্ত সড়কের ওপর দিয়ে সঞ্চালিত ৩০০ মিটার ইন্টারনেটের তার কেটেছে কর্তৃপক্ষ। এতে ওই অঞ্চলে থাকা ৩০-৪০ টি কোম্পানির বিডিআইএক্স ডাউন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
তবে নগর কর্তৃপক্ষ ও ইন্টারনেট সেবাদাতাদের মধ্যে ইঁদুর-বিড়াল খেলায় প্রতিদিনই ডিজিটাল বাংলাদেশে মৌলিক অধিকার হিসেবে বিবেচিত ‘ইন্টারনেট’ সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ নাগরিকরা। বৃহস্পতিবারের অভিযানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্লাক আউটের শিকার হয়েছেন ওই এলাকর ১০ হাজারের মতো সেবা গ্রহিতা।
দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের প্রতিশ্রুত সময় মার্চের আগেই এ ধরনের অভিযানে কিংকর্তব্য বিমুঢ় ইন্টারনেট ব্যবসায়ীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় শনিবার বিকেলে জরুরী বৈঠকে বসছে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি‘র ক্যাবল কাটার কমিটি।
এই কমিটির সদস্য এবং সংগঠনের পরিচালক নাজমুল করিম ভূঁইয়া অভিযোগ করেছেন, “এ বিষয়ে আলোচনার জন্য মেয়র মহোদয়ের মনোনীত ব্যক্তি প্রকৌশলী তানভীরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানিয়েছেন এটা তারা করছেন না। কাটছে সংস্থার সম্পদ বিভাগ। ওই বিভাগের ডিএস রাসেল সাব্রিনের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করে কেটে দিচ্ছেন।”
এক প্রশ্নের জবাবে ‘গত দশ বছরের জঞ্জাল ১০ দিনের মধ্যে সম্ভব নয়’ মন্তব্য করে আইএসপিএবি’র এই নেতা জানিয়েছেন, সিটি করপোরেশন মার্চের মধ্যে তাদেরকে প্রধান সড়কে ১৪৬টি ‘আন্ডার পাস ক্যাবলিং’ এর মাধ্যমে সড়কের নিচ দিয়ে তার রাস্তার এক পাশ থেকে অন্য পাশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। সেই অনুযায়ী, ইতোমধ্যেই পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে আইএসপিএবি ধানমন্ডিতে সীমান্ত স্কয়ার থেকে ২৭ নম্বর রোড পর্যন্ত তিনটি আন্ডার গ্রাউন্ড ক্যবলিং ডকের মাধ্যমে ওই এলাকাটি ঝুলন্ত তার মুক্ত করা হয়েছে। তবে মার্চের মধ্যে ৯০টার বেশি তৈরি করা হবে সম্ভব হবে না। আরো সময় দরকার। সেখানে সময় না বাড়িয়ে বরং প্রতিশ্রুত সময়ের আগেই তার কাটা হচ্ছে। এভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি।