ঢাকা | সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ |
১৭ °সে
|
বাংলা কনভার্টার
walton

ডিজিটাল স্পেসের নিরাপত্তায় বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে দেশের তরুণরাই : পলক

ডিজিটাল স্পেসের নিরাপত্তায় বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে দেশের তরুণরাই : পলক
ডিজিটাল স্পেসের নিরাপত্তায় বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে দেশের তরুণরাই : পলক

নিরাপদ ইন্টারনেটের জন্য গঠন করা হলো ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার (ডিএলসি)। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে বিসিসি সম্মেলন কেন্দ্রে এই প্লাটফর্মের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় বিশ্বের ডিজিটাল স্পেস নিরাপদ রাখতে দেশের তরুণরাই সাহসী ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।

ডিজিটাল স্পেসের নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ কর তিনি আরো বলেন, এরই মধ্যে দেশের অনেক তরুণ ইন্টারনেট শক্তিকে কাজে লাগিয়ে পারিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা এনে দেয়ার পাশাপাশি ডিজিটাল অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে।

এর আগে আইমান সাদিকের সঞ্চালনায় নিরাপদ ইন্টারনেট নিয়ে ডিজিটাল লিটারেসি নিয়ে অনুষ্ঠিত প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক বলেন, “বয়স কত সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়, সৃজনশীলতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে মজার কন্টেট তৈরি করা যায়; যেটা আসলে কাউকে হেয় বা অসম্মান না করেও চমৎকার কন্টেন্ট তৈরি করা যায়। পরিচয় কী সেটাও বিবেচনার বিষয় নয়। বিষয়টা হলো সে মেধাবী ও সৃজনশল কিনা। আমাদের তরুণদের মধ্যে এই মেধা ও সৃজনশীলতা রয়েছে। এখন দরকার শুধু তাদের জন্য ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়া। সাদাত রহমান তা প্রমাণ করেছে। তাই আমরা শুধু শিশু-কিশোরদের শেখাবো না, তাদের কাছ থেকেও আমরা শিখবো”।

সব ব্যবহারকারীদের মধ্যে ডিজিটাল স্বাক্ষরতা ছড়িয়ে দেয়ার চ্যালেঞ্জ এবং কৌশল নিয়ে বৈঠকে আলোকপাত করেন ইউএনডিপি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জী, ইউনিসেফ বাংলাদেশের চাইল্ড প্রোটেকশন স্পেশালিস্ট মুনিরা হাসান, বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, সিসিমপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শাহ আলম, মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াসির আজমান রবি’র চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম এবং মেটার হেড অব পাবলিক পলিসি, বাংলাদেশ শাবনাজ দিয়া।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর বড়গাঙ্গিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মাদ আজিজুল হক, ফুডব্লগার রাফসান, ডিজিটাল শিল্পী মাসুদা ও গ্রে অ্যাডভার্টাইজিং ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাউসুল আজম শাওন বুলিং সংস্কৃতির বিরুদ্ধে জিততে সৃজনশীল কন্টেন্টের শক্তি নিয়ে আলোকপাত করেন। একই সঙ্গে ডিজিটাল দুনিয়ায় পিতা-মাতা ও সন্তানদের মধ্যে দূরত্ব কমানোর বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়।

আর শেষ ভাগে কুইজ রাজশাহীর সুমাইয়া সুলতানা, মোঃ মনির, স্পাইস টিভির ক্যামেরাপারসন মানব বারৈ, বিটিভি’র স্টাফ রিপোর্টার কুমার বিশ্বজিত, সহ ৫জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

এছাড়াও ‘নিশিভূত’ নির্মাতা শামীমা শ্রবণীকে সৃজনশীল কন্টেন্ট নির্মাণের জন্য সম্মাননা দেয়া হয়।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুল আলম খান।

এরপর বয়স ও শ্রেণীভেদ ভুলে সবার জন্য ডিজিটাল স্বাক্ষরতার গুরুত্ব তুলে ধরে একটি উপস্থাপনা দেন সাইবার টিন প্রতিষ্ঠাতা ও শিশু নোবেল জয়ী সদাত রহমান। এতে শিশুদের ঝুঁকি এবং এর কারণ তুলে ধরেন তিনি। এক্ষেত্রে ‘চুপিচুপি’ সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার শিশুদের সাইবার বুলিং পরিস্থিতিকে বাড়াচ্ছে মত দিয়ে নিজ পরিচয়ে শিশুদের নিয়েই এই মাধ্যমে সংযুক্ত থাকতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানায় সা’দাত।

ডিজিটাল,নিরাপত্তা,পলক,ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Transcend