বাংলাদেশে সফটওয়্যার ডেলিভারি সেন্টার স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আইটি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘এসভিএএম’।
বুধবার (৬ এপ্রিল) আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সাক্ষাত করতে এসে এসভিএএম-এর প্রেসিডেন্ট ও সিইও অনিল কাপুর এ আগ্রহের কথা জানান।
এ সময় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, নর্থ শোর টেকনোলজিস লিমিটেডের পরিচালক মনীশ সেহগাল, এসভিএএম-এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট ধনঞ্জয় কুমার, এফএম অ্যাসোসিয়েটস-এর পরিচালক ব্যারিস্টার এ এইচ এম বেলাল চৌধুরী, মার্কিন দূতাবাস ঢাকার ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের চিফ জন ডানহাম, মার্কিন দূতাবাস ঢাকার অর্থনৈতিক/বাণিজ্যিক বিশেষজ্ঞ শিলা আহমেদ।
এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।
এ সময় অনিল কাপুর ‘এসভিএএম’-এর বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রীকে বিস্তারিতভাবে অবহিত করেন। অনিল কাপুর প্রতিমন্ত্রীকে জানান, এসভিএএম মূলত যুক্তরাষ্ট্রে সফটওয়্যার তৈরিসহ আইটি সহায়তা প্রদানকারী অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠেছে এবং এই কাজের জন্য বাংলাদেশে সফটওয়্যার ডেলিভারি সেন্টার স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করে।
তিনি বলেন, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি হল ব্যবসার লাইফলাইন এবং সেইজন্য, মোবাইল ফোর্স অটোমেশন, আইটি কনসাল্টিং ও স্টাফিং, ডেটা অ্যানালিটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিকস প্রসেস অটোমেশন (আরপিএ), প্রজেক্ট সলিউশন, প্রযুক্তিভিত্তিক পরিষেবাগুলোর মতো ব্যাপক, ব্যবসা-কেন্দ্রিক সমাধান প্রদানে এসভিএএম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ সকল বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশিক্ষকদের দিয়ে বাংলাদেশের আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য এসভিএএম প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে তাদের প্রতিষ্ঠান প্রসপেকটিভ সফটওয়্যার ডেলিভারি সেন্টার স্থাপন করতে চাই। তিনি এ ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করে চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরবরাহ করাই এসভিএএম-এর লক্ষ্য।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি খাত পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে এগিয়ে উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আইসিটি খাতে যথাযথ অবকাঠামো গড়ে উঠার কারণে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটির অধিক। সাড়ে ৬ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার ৫০০ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। গ্রাম পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে গেছে। তিনি এসভিএএম কর্তৃক প্রসপেকটিভ সফটওয়্যার ডেলিভারি সেন্টার স্থাপনের বিষয় সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।