বঙ্গবন্ধু হাই টেক সিটি, কালিয়াকৈর, গাজীপুরে সামিট টেকনোপোলিসের ব্লক-২-এ চায়না বায়োলোজিক প্রডাক্ট এর সহযোগিতায় ওরিক্স বায়োটেক একটি ইউ. এস. নাসদাক তালিকাভুক্ত বায়োটেক কোম্পানী, তাহাদের প্লাজমা ফ্রাকশোনাশন প্লান্ট এর নির্মান শুরু করিলো।
৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে সামিট টেকনোপোলিস এর ব্লক-২-এ ওরিক্স বায়োটেকের প্লাজমা ফ্রাকশোনাশন প্লান্ট প্রকৃতিক প্লাজমা উৎপাদন করিবেন, যাহা জীবন সংরক্ষন থেরাপি হিসাবেও পরিচিত-এখন থেকে ইহা বাংলাদেশে প্রথম বায়োটেক বৈদেশিক সরসরি বিনিয়োগ। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা গবেষনার জন্য এটি একটি সময়মত যথোপযুক্ত বিনিয়োগ এবং সেবা ক্ষেত্র। ইহা বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত ক্ষেত্র হইতে প্রকল্পটি উন্নত মানের ২০০০ চাকরি কর্মসংস্থান প্রত্যাশা করিয়াছে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক যুগোপযুগী ঘটনা হিসাবে উল্লেখ্য করিয়াছেন, “ওরিক্স প্রজেক্ট বায়োটেক ইন্ডাষ্ট্রি এর একটি যুগ উম্মুক্ত করেন এবং বাংলাদেশের জন্য অন্যান্য এরূপ হাই টেক প্রজেক্টসমূহর যবনিকা উন্মোচন করেন।”
সামিট গ্রুপের পরিচালক ফাদিহা খান বলেছেন, বাংলাদেশে সামিট হাই-টেক বিনিয়োগকারীদেরকে স্বাগতম জানাইতেছে, নিকটতম ভবিষ্যতে এটি একটি আঞ্চলিক হাব, যাহা আমাদের প্রযুক্তিপ্রিয়-বুদ্ধিমান যুবকদেরকে সুযোগের যবোনিক খুলে দিবে। বাংলাদেশ কোভিড ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ইহার সহনশীলতা প্রদর্শন করিয়াছে এবং জাতীকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরবর্তী পদক্ষেপকে সমর্থন করিতে আমরা এখানে আছি।”
চাইনিজ এম্বাসী ইকোনোমিক কাউন্সেলর অনলাইনে বক্তব্য রাখেন, তিনি বলেন-ওরিক্স বায়োটেক চায়নার টেকনোলোজি হস্তান্তর করিয়া বাংলাদেশে তাহাদের কার্যক্রম চালাইবে।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) জনাব হোসনে আরা বেগম এনডিসি বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্য মাননীয় অতিথিগণের মধ্যে সামিট টেকনোপোলিসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবু রেজা খানও উপস্থিত ছিলেন।