কানাডা যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে রিসার্চ, ইনোভেশন, নলেজ শেয়ারিং ও টেলেন্ড ডেভেলপ নিয়ে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে চায়।
এ লক্ষ্যে কানাডায় আইটি কানেক্ট পোর্টাল শীঘ্রই চালু করা হবে এবং কানাডা ও বাংলাদেশের খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ ও বেসরকারি আইটি খাত যৌথভাবে কাজ করবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত ড. লিলি নিচলস (Dr. Lilly Nicholls) আজ আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
বৈঠককালে প্রতিমন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন এবং ২০৪১ সালে উন্নত অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি।
তিনি বলেন বিগত ১৩ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিভিন্ন সময়োপযোগী ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দেশের আইসিটি খাত একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। আইটি/আইটিইএস খাতে রপ্তানি আয় ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। অনলাইন শ্রমশক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশের প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার আউটসোর্সিং খাত থেকে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছে।
আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে আইটি/আইটিইএস খাতে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করা, শতভাগ ইন্টারনেট ও সরকারি সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। তিনি আইসিটি খাতসহ বিভিন্ন বিষয়ে কানাডা-বাংলাদেশ যৌথ ব্যবস্থাপনায় গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পলক চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবেলায় প্রযুক্তিনির্ভর জনশক্তি গড়ে তোলা, অগমেন্টেট রিয়েলিটি (এআর), ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) ও রোবটিক্সসহ নতুন নতুন টেকলোজি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে দেশে "শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি", লিডারশীপ একাডেমি, ৩০০টি স্কুল অব ফিউচার এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
এছাড়াও দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য ৬৪ জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিংএন্ড ইনকিউবেশেন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতে বিগত ১৩ বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে প্রসংশা করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন অল্প সময়ে বাংলাদেশের আইসিটি খাতসহ বিভিন্ন খাতের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে।
আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে আরো এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে কানাডা পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন।
এসময় অন্যান্যোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্টার্টআপ কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ, কানাডা দূতাবাসের কাউন্সিলর অ্যাঞ্জেলা ডার্ক, ট্রেড কমিশনার গাজি গোলাম ফরহাদ সহ আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।