বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলোজির (বিডব্লিউআইটি) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির (২০২৩- ২০২৫) সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন স্টার কম্পিউটার্স সিষ্টেম লিমিটেডের সিইও রেজওয়ানা খান এবং ওমেন ইন ডিজিটালের প্রতিষ্টাতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আছিয়া খালেদা নীলা। নির্বাচনে কোন প্রতিদ্বন্দ্বীতা না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন ১৩ সদস্য বিশিষ্ট এই কার্যনির্বাহী কমিটি ।
নির্বাচনে উদ্যোক্তা, কর্পোরেট এবং প্রফেশনাল এই তিন বিভাগে সহ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে অনুপম ইনফোটেক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন কামাল, পিডব্লিউসি এর পরিচালক রুমেসা হোসেইন এবং নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. নোভা আহমেদ। যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জগন্নাথ ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সেলিনা শারমিন, কোষাধ্যক্ষ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন সালেহীন এন্ড এ্যাসোসিয়েটস এর প্রতিষ্ঠাতা নাজমুস সালেহীন।
এছাড়া পরিচালক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিক্স এ্ন্ড ম্যাকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, টেকসলুশ্যানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন নাহার, বিডিওএনএস এর সিইও কানিজ ফাতেমা, দোহাটেকের পরিচালক রীম শামসুদ্দোহা, দোহাটেকের প্রকল্প ব্যবস্থাপক তাসলিমা আক্তার এবং নটরডেম ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফারনাজ নারিন নূর।
বাংলাদশে উইমেন ইন টেকনোলোজি ২০১২ সাল হতে প্রযুক্তিতে নারীর অংশগ্রহন বাড়াতে এবং তাদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করে যাচেছ। বিগত দিনগুলোতে প্রতিষ্ঠাতা লুনা শামছুদ্দোহার নেতৃত্বে নারীদের জন্য দেশের একমাত্র তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক সংগঠক বিডব্লিউআইটি তথ্যপ্রযুক্তিতে নারীর অংশগ্রহন বাড়াতে এবং দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন, আইসিটি ডিভিশন , এটুআই সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে।
নবনির্বাচিত সভাপতি রেজওয়ানা খান ২০০৪ সালে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় হতে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়াশুনা শেষ করে পরিচালক হিসাবে যুক্ত হন স্টার কম্পিউটার্স সিস্টেমস লিমিটেডে। পরবর্ত্তীতে২০০৭ সালে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এ মাষ্টার্স করেন ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া হতে এবং ফেলোশীপ করেন অষ্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ সাউথার্ন কুইন্সল্যান্ড হতে। ইতোমধ্যে তার নেতৃত্বে স্টার কম্পিউটার্স এগিয়ে যায় আরেক ধাপ। তিনিই এই প্রতিষ্ঠানের সেবা গ্রহনকারীর তালিকায় যুক্ত করেছেন বিশ্ব ব্যাংক,বহু আর্ন্তজাতিক এনজিও, বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ডিভিশন, এটুআই , এডিবি সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানকে। দেশ ছাড়িয়ে প্রযুক্তিসেবা ছাড়িয়ে দিয়েছেন ব্রুনাই, ইউএস এ, মায়মা এবং আমেরিকার মত দেশগুলোতে। দেশে জীবনের খুব অল্প সময়ে সফলতা অর্জন কারী নারী প্রযুক্তিবিদ এবং উদ্যোক্তাদের মধ্যে তিনি একজন। নিষ্ঠা ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে ২০১৮ সালে তার পদোন্নতি হয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে ১৭ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা থাকার পাশাপাশি রেজওয়ানা খান সফলভাবে এন্টারপ্রাইজ, ই-গভর্নেন্স, হিউম্যান রিসোর্স এবং দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশেষভাবে ভূমিকা রেখেছেন। এছুাড়া এডভাইজারি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হিসাবে যুক্ত আছেন বেসিসের সাথে।
দেশে এবং আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং তথ্যপ্রযুক্তিবিদ হিসাবে বেশ জনপ্রিয় আছিয়া খালেদা নীলা। ২০০৭ সালে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হতে কম্পিউটার কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক শেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যেক্তা হিসাবে আত্ম প্রকাশ করেন নীলা। ২০১২ সালে গড়ে তোলেন নিজ প্রতিষ্ঠান ‘উইমেন ইন ডিজিটাল”। তথ্যপ্রযুক্তিতে মেয়েদের আগ্রহী করার পাশাপাশি তাদের সক্ষমতা বাড়িয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলাই তাঁর প্রতিষ্ঠানের কাজ। গত ৯ বছরে সারা দেশে প্রায় ১২ হাজার নারীকে প্রশিক্ষিত করেছে ‘উইমেন ইন ডিজিটাল’। প্রশিক্ষন ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নারীর ক্ষমতায়ন এবং অর্থনৈতিকভাবে নারী সাবলম্বী করে গড়ে তুলতে সহায়তাও প্রদান করে নীলার প্রতিষ্ঠান। উইমেন ইন ডিজিটালের সহযোগী ডিজিটাল এজেন্সি লুমিনাডেভের নারী কর্মীরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার গ্রাহকদের জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, গেমিং সফটওয়্যার, ব্লক চেইন প্রযুক্তি তৈরির কাজ করেন। সংযুক্ত আছেন আইটিইউ, আইজিএফ এর সাথে। মেনটর এবং বিচারক হিসাবে কাজ করছেন মেটাতে।