ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়প্রচলিত শিক্ষায় শিক্ষিতদের ডিজিটাল প্রশিক্ষণ এব্ং নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল প্রযুক্তি উপযোগী শিক্ষায় গড়ে তুলার বিকল্প নাই। ডিজিটাল প্রশিক্ষণের বিষয়টি সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় অক্সফাম ও প্রথম আলোর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা: যুবদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানের অগ্রাধিকার ও জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ’ শীর্ষক ভাচ্যুয়ার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশিদ উল হাসান, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নির্বাহী চেয়ারম্যান দুলাল কৃষ্ণ সাহা, অধ্যাপক লাফিসা জামান যুব উদ্যোক্তা স্বর্ণা খাতুন প্রমূখ বক্তৃতা করেন।মন্ত্রী ডিজিটাল যুগের ধারণা, প্রয়োজন ও প্রস্তুতি কী হওয়া উচিৎ তা বুঝার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এর ওপর ভিত্তি করেই সামনের যুগটা কেমন যাবে তার পরিকল্পনা করা জরুরী।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গড়ে তুলতে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সূচনা করেন। ২০২১ সালকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিত করতে লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। তিনি বলেন, ২০২১ সালের বাংলাদেশের তৃণমূল মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশ কী, এর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামের প্রথম শ্রেণির পড়ুয়া শিক্ষার্থীটিও ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারছে।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে বড় সম্পদ মানুষ। এই সম্পদ ব্যবহার করতে না পারলে এগিয়ে যাওয়া অনেক কঠিন হবে।তিনি বলেন, মানব সম্পদ ব্যবহার করে তাদের ডিজিটাল দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে আমাদের বড় কাজ । তিনি বলেন, অতীতে তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করেও গত ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব প্রদানের মতো উপযোগী হিসেবে সক্ষমতা অর্জন করেছে। আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
দেশে কম্পিউটার বিপ্লবের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, গত ১২ বছরে ডিজিটাল হাইওয়ে সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষকেও ডিজিটাল সেবা প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।২০২১ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি মানুষ উচ্চগতির ইন্টারনেটের আওতায় আসবে।তিনি বলেন, শিল্পোন্নত দেশগুলোর মানব সংকট কাটাতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলেছে। অন্যদিকে জাপান সোসাইটী ৫.০ এর কথা বলেছে।
জাপান মনে করে সোসাইটী ৫.০ মানবিক আর চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যান্ত্রিক। আমাদেরকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে, তবে আমাদের মতো করে। এই বিপ্লব সকল দেশের জন্য এক নয়-একই নীতি-কৌশল ও পদ্ধতি সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাই অনুকরণ নয় মেধা ও সৃজনশীলতা দিয়ে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বানাবো।