ঢাকা | শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ |
৩৯ °সে
|
বাংলা কনভার্টার
walton

কম্পিউটার সমিতির নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ৯ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা

কম্পিউটার সমিতির নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ৯ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা
কম্পিউটার সমিতির নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ৯ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা

দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) ২০২৪–২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে বাতিল হওয়া দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র শেষ পর্যন্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

গত ৯ জানুয়ারি বিসিএসের ২০২৪-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন কার্যক্রম শুরু হয়। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল গত ৭ ফেব্রুয়ারি বেলা আড়াইটা। বিসিএসের নির্বাহী কমিটির ৭টি পদে ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। নির্ধারিত সময়ের পর জমা দেওয়ায় নির্বাচন বোর্ড দুজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে। পরে তাঁরা আপিল করলে আপিল বোর্ডও একই সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। এরপর গত মাসে ওই দুই প্রার্থী নির্বাচন বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক বাণিজ্য সংগঠন (ডিটিও) বরাবর আপিল করেন। পরে ডিটিও ওই দুটি মনোনয়নপত্র বৈধ বলে সিদ্ধান্ত দেয়।

এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে নির্বাচন বোর্ড কর্তৃক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ মার্চ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সোমবার ১৮ মার্চ শুনানির সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। উপসচিব (টিও–২) মো. আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত গতকালের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘মহাপরিচালক বাণিজ্য সংগঠন কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল মর্মে তা বহাল রাখা হলো এবং আপিলকারীর আবেদন নাকচ করা হলো।’ চিঠিতে বিসিএসের সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তের ফলে বিসিএসের নির্বাচনে সাতটি পদে নয়জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হলো। ৯ মার্চ এই বিসিএসের ২০২৪-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি ও ১১টি শাখা কমিটির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। পরে ৭ মার্চ নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

এদিকে বিসিএস নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান শেখ কবির আহমেদ পদত্যাগ করায় নির্বাচন বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে। বীরেন্দ্র নাথ অধিকারীকে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। বাকি দুই সদস্য হলেন মো. নাজমুল আলম ভূঁইয়া ও মো. আমির হোসেন। নির্বাচনসংক্রান্ত আপিল বোর্ডের সদস্যরা হলেন চৌধুরী মো. আসলাম (চেয়ারম্যান), শেখ মুসা কামাল ও মো. হামিদ উল্লাহ খান।

বিসিএসের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হবে ৩১ মার্চ। ডিটিওর নিয়ম অনুযায়ী, কমিটির মেয়াদপূর্তির ১৫ দিন আগে নতুন কমিটি গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি উল্লেখ করে বিসিএসের নির্বাহী কমিটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ পেছানোর জন্য ডিটিওর কাছে আবেদন করেছে। এ ব্যাপারে বীরেন্দ্র নাথ অধিকারী আজ মঙ্গলবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেহেতু পুরো ঘটনাক্রম সম্পর্কে ডিটিও অবহিত আছে, তাই আমরা তাদের সিদ্ধান্ত ও পরামর্শের অপেক্ষায় আছি। ডিটিওর পরমার্শ পেলে নির্বাচন বোর্ড নির্বাচনের পরবর্তী কার্যক্রমের তারিখ ও সময় নির্ধারণ করবে।’

কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া বিসিএসের আরও ১১টি শাখা কমিটির নির্বাচনও একই সঙ্গে হবে। তবে নয়টি শাখার কমিটির জন্য সাতজন করে প্রার্থী থাকায় তাঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। রংপুরে ১৪ ও সিলেটে ১১ জন প্রার্থী থাকায় এই দুটি শাখায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার বিসিএসের মোট ভোটারসংখ্যা ২ হাজার ১৫০। বিসিএসের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ৭টি পদে যে ৯ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে, তাঁরা হলেন সুব্রত সরকার, মো. রাশেদ আলী ভূঁইয়া, মো. কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, আনিসুর রহমান, এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবদুল জলিল, মো. মনজুরুল হাসান ও এইচ এম শাহ নেওয়াজ।

কম্পিউটার সমিতির নির্বাচন,৯ প্রার্থী,মনোনয়ন বৈধ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Transcend
Vention