অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে ভার্চ্যুয়াল শুনানিতে আজ সোমবার ৩ হাজার ১৩৮টি জামিন আবেদনের নিষ্পত্তি হয়েছে। এসব আবেদনের বিপরীতে ১ হাজার ৬৩৫ জন আসামি জামিন পেয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
করোনা পরিস্থিতিতে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে শুধু জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্ত নিষ্পত্তির জন্য অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ১২ এপ্রিল থেকে ওই কার্যক্রম শুরু হয়। এ হিসেবে আজ ছিল কার্যক্রমের পঞ্চম দিন।
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্রের তথ্যমতে, ১২, ১৩, ১৫, ১৮ ও ১৯ এপ্রিল এই পাঁচ কার্যদিবসে সারা দেশে অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে ভার্চ্যুয়াল শুনানির মাধ্যমে ১৭ হাজার ৯৮০টি মামলায় মোট ১০ হাজার ৬৮১ জন জামিন পেয়েছেন।
ভার্চ্যুয়াল জামিন শুনানির পূর্বাপর
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গত বছরের ৯ মে ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’ শিরোনামে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। ফলে অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনার সুযোগ তৈরি হয়। অধ্যাদেশটি পরে আইনে পরিণত হয়। অধ্যাদেশের পর সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে প্র্যাকটিস নির্দেশনা (ব্যবহারিক দিকনির্দেশনা) প্রকাশ করা হয়। গত বছরের ১১ মে থেকে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র সাইফুর রহমান গত বছরের জুলাইতে জানিয়েছিলেন, গত বছরের ১১ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৫০ কার্যদিবসে সারা দেশের অধস্তন আদালতে ভার্চ্যুয়াল শুনানিতে মোট ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৯৯টি জামিনসংক্রান্ত দরখাস্ত নিষ্পত্তি হয়, যার বিপরীতে ৬৭ হাজার ২২৯ জনের (শিশু আদালতসহ) জামিন মঞ্জুর হয়।
পরে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে অধস্তন আদালতে শারীরিক উপস্থিতিতে কার্যক্রম শুরু হয়।
তবে বিদ্যমান পরিস্থিততে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে শুধু জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্ত নিষ্পত্তির জন্য অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে ১২ এপ্রিল থেকে কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে ১১ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার রোধে ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্ত নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এ অনুসারে ১২ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় দফায় ওই কার্যক্রম শুরু হয়।